চমস্কির প্রধান যে কন্ট্রিবিউশান এবং এডওয়ার্ড হারমানের সাথে তার বিখ্যাত বই, Manufacturing Consent: The Political Economy of the Mass Media
বইয়ে অনেক গুলো চমৎকার উদাহরণ আছে কিভাবে নিউ ইয়র্ক টাইমস বা ওয়াশিংটনের পোস্টের মত লিবারেল পত্রিকা গুলো এমন ভাবে তাদের ডিবেট কে ফ্রেম করে যেন, মনে হয় তারা মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করছে কিন্তু আমেরিকান স্বার্থের সব চেয়ে সেনসিটিভ এবং আগ্রাসী বিষয় গুলো তারা এড়িয়ে যাচ্ছে ।
এবং এই কম সেনসিটিভ বিষয় গুলোতে তারা ব্যাপক আলোচনা জেনারেট করবে যাতে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা হবে কিন্তু, আসল বিষয় টা আলোচনা হবেনা।
যেমন মনে করেন, তারা গুয়ানতানামো বে তে ইল্লিগাল ডিটেনশানের সমালোচনা করবে এবং সেখানার স্নোবরডিং বা ইত্যাদি টর্চার নিয়ে সমালোচনা করবে – কেন মার্কিন মানবাধিকারের স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে সেই অন্যায় । এবং বিরোধী পক্ষ সেই সমালোচনার উত্তর দিবে এই বলে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেফটি বা সিকিউরিটির জন্যে সেইটা অমানবিক হলেও প্রয়োজনীয়।
কিন্তু আমেরিকান আগ্রাসনে যে ১০ লক্ষ ইরাকি মারা গ্যাছে তাদের মধ্যে যারা সরাসরি মার্কিনদের হাতে খুন হয়েছে রেপ হয়েছে সেই ইমেজ, ডিটেলস এবং ঘটনা গুলো এই লিবারেল পত্রিকা গুলো এড়িয়ে যাবে ।
এইটা প্রোপাগান্ডা মডেলের একটা বৈশিষ্ট্য সেখানে যার হাতে হেজেমনি আছে সে ডিবেট টাকে, এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যাতে সব চেয় সেনসিটিভ বিষয় গুলো আলোচনা না হয়।
আল-জাজিরার ডকুমেন্টারির প্রধান বিষয় হাসিনার হাতে মাফিয়া বাহিনী তৈরি এবং উভয় পক্ষের পারস্পরিক সমঝোতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল এবং লুট -সেইটা বাদ দিয়ে খালিদ মহিউদ্দিন সাহেব এবং নাইমুল ইসলাম খান সাহেবেরা সুন্দর মত তাসলিম খলিলরে সেনা প্রধানের ভাই ইস্যু সহ ডকুমেন্টারির টেকনিকাল অনেক কিছুতেই ব্যস্ত রাখলেন।
আমার মনে হয়ে, বাংলাদেশে যদি কখনো মুক্তি আসে, খালিদ মহিউদ্দিন
এবং নাইমুল ইসলাম খানের তাসলিম খলিলের সাথে এই সাক্ষাতকারটা টিচারদের জন্যে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে, কিভাবে সেনসিটিভ বিষয় গুলো আড়াল করে এমন ভাবে ডিবেট শেপ করতে হয় যেন,সরকারকে সব চেয়ে সেন্সেটিভ আলোচনার মধ্যে না আসতে পারে।