বাংলাদেশ আর্মি সবসময় ভাড়া খেটেছে- ইউএন মিশনে গিয়ে জাতিসংঘের ভাড়া খেটেছে, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রশাসনের জন্য ভাড়া খেটেছে, জেনারেলদের রাজনৈতিক বাসনা চরিতার্থ করতে তাদের ভাড়া খেটেছে- আই হোপ রাব, ডিজিএফআই, বা অন্যান্য সিক্রেট এজেন্সি কাজ করা আর্মি অফিসার রা জানেন তারা এখন কাদের ভাড়া খাটছেন- এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাফিয়া লিডার, গ্যাংস্টারদের -যারা ফোন করার আগে বলে কয়টা সালাম দেয় দেখেন। এই শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইকোপ্যাথ মাফিয়াদের নির্দেশেই তারা ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের গার্লফ্রেন্ডের ফোন হ্যাক করে প্লেন থেকে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ধরে আনেন। সারাদেশের সামনে ডিসপ্লে করেন,শেখ হাসিনার দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে তাদের ভূমিকা হিসেবে।
হয়তো তারা মনে করতে পারবেন একাডেমিতে ট্রেনিংয়ে তাদেরকে হনার কোড শেখানো হয়েছিল- এ জেন্টলম্যান ক্যাডেট শাল নট লাই চিট অর স্টিল। নর টলারেট দোজ হু ডু।
আশা করি প্লাটুন কমান্ডার দের এই কথাটা তাদের খেয়াল আছে, নর টলারেট দোজ হু ডু- এই কথাটা এক সময় অনার কোডে ছিল না, পরে ঢোকানো হয়েছে- আশাকরি তাদের মনে আছে প্লাটুন কমান্ডার বলেছিল তোমাদের কাছ থেকে এই ধরনের নৈতিক মান আশা করা হয়।
আশা করি তারা সেইসব বিএসইউ সিএসইউর গল্প শুনেছেন, যারা পরীক্ষার হলে শুধুমাত্র পেছনে তাকিয়েছিল বলে তাদের অ্যাপুলেট খুলে ফেলা হয়েছিল, রেলিগেটেড করা হয়েছিল – কারণ তারা মরাল কোড ভেঙেছিল- দাট এ জেন্টলম্যান ক্যাডেট শাল নট লাই চিট অর স্টিল। নর টলারেট দোজ হু ডু।
আই হোপ তারা এখন জানেন, দাট ওয়াজ অল এ লাই- দে নাও সার্ভ এ মাফিয়া। এবং মাফিয়াদের কথামতো তারা পরিচালিত হন।
আই হোপ পেনাল কোড এবং মিলিটারি ল পড়ানোর সময়- প্লাটুন কমান্ডার তাদের মনে একটা গ্যাঞ্জাম লাগিয়ে দিতে পেরেছিল। ল ফুল কমান্ড কি ও আন ল ফুল কমান্ডের পার্থক্য নিয়ে ?
আই হোপ তারা অ্যাকাডেমি ট্রেনিং এর শেষে সেটা ক্লিয়ার করতে পারছিল যে কেন আন ল ফুল কমান্ড না মানলে কোন শাস্তি হয় না।
আশা করি এতদূর ইন্টেলেকচুয়াল কিউরিওসিটি বিএমএর প্লাটুন কমান্ডার তাদের মনে বপন করতে পেরেছিল- কোনটা আন ল ফুল কমান্ড এবং কেন আন ল ফুল কমান্ড মানতে তারা বাধ্য না।
আমি দেশপ্রেম, চেতনা, অঙ্গীকার, শপথ এই কথাগুলো কে ভয় পাই। কারণ এই কথাগুলো যারা বলে-অভিজ্ঞতা থেকে জানি- তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ধান্দা।
তাই তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাইনা পাসিং আউট প্যারেডের সময় তারা কী ওথ নিয়েছিলেন- যে নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশকে রক্ষা করবেন।
আমি বরং মনে করি যে তারা self-interest এই চাকরি করেন। আমার কাছে সেটা ফাইন। আপনি আপনার ছেলেমেয়ের একটা সুন্দর জীবনের জন্য পরিশ্রম করবেন – তবে আপনি নিজের দায়িত্বটা ভালো মতো করবেন। এবং আমরা সবাই যদি, নিজেদের স্বার্থের জন্য সৎভাবে নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করি তবে দেশপ্রেম লাগবেনা সম্মিলিতভাবে সকলের পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাবে। কারো দেশপ্রেম, পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রয়োজন হবে না।
আজকে যারা ডিজিএফআই বা যাবে চাকরি করে বিরোধী দলের কর্মীদের কে নিপিরণ করছেন, মানুষকে ঘরছাড়া করছেন, হত্যা করছেন ,গুমে অংশ নিচ্ছেন আই নো এইটা তাদের স্বল্পমেয়াদী প্রমোশন সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করছে কিন্তু আশা করি এটা তারা চিন্তা করে দেখছেন , তাদের এই দুষ্কর্ম তাদের নিজেদের দীর্ঘমেয়াদি self-interest সারভ করছে কিনা?
যে গুম খুন,লুটের মাফিয়াদের অভয়ারণ্য বাংলাদেশ তৈরিতে তারা সহায়তা করছেন, সরাসরি পার্টিসিপেট করছেন- এই পরিবেশেই তার পরবর্তী জেনারেশন বড় হবে।