লেটস সি পিনাকীদার এক নাম্বার আর্গুমেন্টের প্রব্লেম কি ?
উনি কাকে কাকে শত্রু হিসবে দেখতেছেন?উনার কাছে প্রথম আলোর সাংবাদিক মিজানুর রহমান শত্রু, গোলাম সারোয়ার শত্রু, ফারুক ওয়াসিফ শত্রু, রাষ্ট্রচিন্তার দিদার, হাসনাত কাইউম-আরো অনেক শত্রু।কিন্তু আমি তাদের সবাইকে বন্ধু মনে করি, এবং ফ্যাসিজম বিরোধী লড়াই এর এলাই বা পোটেনশিয়াল এলাই মনে করি।
উদাহরণ হিসেবে গোলাম সারোয়ারের সাথে আমার দীর্ঘ তর্ক বিতর্ক হয়েছে এবং আমি দেখেছি মরাল ইকুইভ্যালেন্সের নামে কিভাবে এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে তিনি যুক্তি দেন।আমি দীর্ঘ আলোচনার পরে বোঝাতে না পেরে এবং উনার স্ট্র ম্যান আর্গুমেন্ট মানে আমি যেইটা বলি নাই সেইটা আমার নামে খাড়া করায় সেইটারে ডিফেন্ড করতে না হয় সেই জন্যে ব্লক পর্যন্ত করেছি। কিন্তু আমি উনাকে পটেনশিয়াল এলাই মনে করি কারণ আমি দেখি উনার চিন্তা পদ্ধতি ফ্যাসিস্ট এপলোজিস্ট কিন্তু উনি মোটেও ফ্যাসিজমের বা এই সরকারের পক্ষের ব্যক্তি না।আমি এই ধরনের অনেক লোককে চিনি।
আমি জাস্ট বুঝে নিয়েছি, উনাদের একটা ওয়ার্ল্ড ভিউ আছে যেইটা আমার থেকে আলাদা। তারা একটি অভিজ্ঞতায় বড় হয়েছেন। এবং তাদের সেই অভিজ্ঞতা থেকে একটা মরাল ইকুইভ্যালেন্স করেন। এবং এমন কি ২০১৪ সালের পরেও, আল্লাহ তাদের সেই সেন্স দেয় নাই বোঝার যে তাদের এই আর্গুমেন্ট গুলো কিভাবে শেখ হাসিনার সাম্রাজ্য নির্মাণ করেছে।
আমি স্টিল উনাদের এলাই মনে করি, যাদের মাঝে আমি বেসিক গুডনেস এবং ফ্যাসিবাদের বিরোধিতায় সততা দেখি। আমি দেখি তাদের অনেকেই যদি ভালো একটা ইনসেন্টিভ পায় তবে কনভার্ট হবে। সেই ইনসেন্টিভ হচ্ছে একটা নতুন স্বপ্ন দেখানো। একটা নতুন রাষ্ট্র কিভাবে গড়ে উঠবে সেইটার ভিশন পথ যদি কেউ সততার সাথে দেখাতে পারে তারা সেই পথে আসবে। আমি দেখি, তাদের অনেকে নিজেও চেষ্টা করতেছে। মনে করুন রাষ্ট্রচিন্তা।
আমি দেখি, সংবিধান কি এবং সংবিধান কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে মিজানুর রহমান লেভেলের শিশুতোষ ধারনা রাখা সত্ত্বেও তাদের চিন্তা এবং কাজের হনেস্টি। আমি তাদের এলাই মনে করি, যদিও ২০১৪ এর পরের রাষ্ট্রে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার সব চেয়ে বড় অস্ত্র মরাল ইকুইভ্যালেন্স যে উনারাই শেখ হাসিনাকে তুলে দিচ্ছেন সেইটা তারা এখনো রিয়ালাইজ করেন না। আমি তাই তাদের সমালোচনাও করি।
পিনাকীদার প্রশ্ন হচ্ছে যার ন্যারেটিভে এই ফ্যাসিজম কায়েম হয়েছে সে কিভাবে এলাই হবে।এই জায়গাটায় আমার মনে হয়, অনেকেই বিভ্রান্ত হন। এমন কি, ফরহাদ মজহারের একটি কথাও তারা মিসরিপ্রেজেন্ট করেছেন।ইদানীং একটা আলোচনা তৈরি হয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, কালচারাল ফ্যাসিজম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে শত্রু নিধন এই বয়ান গুলো সিপিবি এবং বামপন্থা এবং এমন কি প্রথম আলোর মিজানুর রহমানের মত কলামনিস্টরা তৈরি করেছে। এইটা সত্য কিন্তু পূর্ণ সত্য নয়।এই বয়ানের অনেক গুলো পার্ট শহুরে মধ্যবিত্তের কালচারাল এস্পিরেশানের ভেতরে ছিল আশি এবং নব্বই দশকেই। ইস্লামিস্ট পলিটিক্সের প্রতি মিস্ট্রাস্টের ভিত্তি সিপিবি তৈরি করে নাই, বরং ইস্লামিস্টরা নিজেদের রেস্পন্সিবল এন্টিটি হিসেবে সমাজে আসতে পারে নাই। ফলে কখনই তারা ৫% এর উপরে ভোট পায় নাই। পাব্লিকে ভোট দেয় নাই। আওয়ামী লীগ ইস্লামিস্ট পলিটিক্সের প্রতি মিস ট্রাস্টটাকে উইপনাইজ করেছে।যদিও আওয়ামী লীগের জন্যে সেই বয়ান নির্মাণে র সাপোর্টেড সিপিবি টাইপ কালচারাল এলিটসের একটা অংশের বড় ভুমিকা আছে।এমনকি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিষয়টাও সিমিলার।বিষয়টা সাটল।
গ্রাম থেকে আসা শহুরে মধ্যবিত্ত তার ফেলে আসা স্মৃতি এবং মাটির সাথে তার ক্ষয় হতে থাকা সংযোগকে সেলিব্রেট করার জন্যে আশি এবং নব্বই দশকে বাঙালি জাতিবাদের কিছু ইলেমেন্টকে তার পরিচয়ের চিহ্ন হিসেবে ধারণ করেছে। সেইটার ভিত্তি করে একটা কালচারাল আন্দোলন হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে কোলকাতার জমিদারদের থেকে ঈর্ষা থেকে আসা হীনমন্যতা ধারণ করেছে।আওয়ামী লিগ এইটাকে উইপানাইজ করে হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি ব্লা ব্লা ব্লা ইত্যাদি দাড় করাইছে।
হালের যে ইসলামিক রিভাইভালিজম এইটা এই উইপানাইজেশানের একটা রিএকশন।যে একই ব্যক্তি এক সময়ে বাঙালি পরিচয় ধারন করতে চেয়েছে সে এখন ইস্লামিস্ট ন্যারেটিভে মুক্তি খুজতেছে।পয়েন্ট ইজ, এই সেলিব্রেশান যারাই করেছে, এই বয়ান যারা নির্মাণ করেছে তারা সবাই বোঝে নাই যে, তাদের বয়ান দিয়ে একটা বাঙালি জাতিবাদি ফাসিস্ট রাষ্ট্র কায়েম করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইটসেলফ কোন ফ্যাসিস্ট বয়ান না। এইটাকেও আওয়ামি লিগ উইপনাইজ করেছে।এমন কি ঘাতক দালালদের বিচার চাওয়া একটা ন্যায্যতা ভিত্তিক এবং আইনের শাসনের রাষ্ট্র চাওয়ার আকাংখা থেকে আসতে পারে। কিন্তু, এইটার পাইক বরকনদাজেরা র দ্বারা পেইড এবং আওয়ামী লীগের রান্না করা বিরানি খাওয়াটাই তাদের ধান্দা ছিল।
পিনাকিদার চিন্তার সাথে আমার ব্যক্তিগত একটা পার্থক্য হচ্ছে বয়ান নির্মাণে কার ভুমিকা কি ছিল, তার চেয়ে বর্তমান কে মরাল ইকুইভ্যালেন্সের মাধ্যমে এই ফ্যাসিজমকে টেকায় রাখার যুক্তি দের তাদের বেশী ক্ষতিকর মনে করি। আমার কাছে, কে বয়ান নির্মাণ করেছে এইটা মেইন প্রশ্ন না। কারণ এইটা অনেক কমপ্লিকেটেড প্রশ্ন। কিন্তু তবুও আমি তাদের সাথে এঙ্গেজ হই।এইটা টাফার। এইটাতে অনেক বেশী নোংরা গালি খেতে হয়। বিএনপির মত একটি মিনিমাম মরালিটি এবং যোগ্যতাহীন দলের এপলজিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়।তবুও আমি তাদের সাথে এঙ্গেজ করি, এই লোক গুলোর অনেকের মরাল ভ্যালু যথেষ্ট উন্নত। আমি ক্লেইম করতে পারবোনা শুধু মাত্র একটি ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি রাখি বলে, আমি তাদের থেকে বেটার। ফলে আমাকে রিচ আউট করতে হয়, এলাই তৈরি করতে হয়। আমার তাদের কাছ থেকেও শিখতে হয়। ফ্যাসিবাদের বয়ান তৈরিতে মিজানুর রহমানের ভুমিকা সিকার করেও, তার মৃত্যুতে সৌজন্য দেখাই।কারণ আমি রেস্পেক্ট করি উনি উনার জায়গা থেকে এইটা রাষ্ট্রের জন্যে সঠিক পথ হিসেবে মনে করেছেন। উনি আওয়ামী লীগের মত সব কিছু ধ্বংসের উদ্দেশ্যে লুটে খাওয়ার জন্যে এই গুলো লিখেন নাই। ফলে তার মৃত্যুতে আমি অত টুকু সৌজন্যতা দেখাইতে পারি।কিন্তু, পিনাকি দার কাছে এইটা সাপ এবং ব্যাং এর মুখে এক সাথে চুমু খাওয়া। শত্রু মিত্র না চেনা বা শত্রুকে নিঃশেষ না করে শত্রুকে শক্তি যোগানো।পিনাকি দা এইটা বলতে পারেন, কারণ উনাকে কোন এলাই নির্মাণ করতে হয়না।কারণ পিনাকি দা এক্টিভিস্টের রোল দাবী করলেও তিনি মূলত ইন্টেলেকচুয়ালের রোল প্লে করেন। শুধু ভ্যালু জাজমেন্ট করেন। ভ্যালু জাজমেন্টের মুল্য টি দেখেন না। কারণ মুল্য নিয়ে উনার কোন মাথা ব্যাথা নাই।দ্যাটস ডেঞ্জারাস।
শেখ হাসিনা কিন্তু, আজকে এই জায়গায় আসার আগে তার শত্রু মিত্র সবার সাথে এলাই তৈরি করেছে। এমন কি খেলাফতে মজলিসের সাথে তার যে চুক্তি ছিল, সেইটাও এলাই নির্মাণ।ইন্টেরেস্টিংলি সেইটা উনি ক্ষমতায় থেকে করেছিলেন। আমি বলছিনা, হিপোক্রেট হতে হবে কিন্তু আপনি সত্যি মনে করেন এই শাসকের পতন ঘটাতে হবে তবে একটা ব্রড এলায়েন্সে সমাজের সকল নৈতিক অংশকে কানেক্ট করতে হবে।আমি ইতোপূর্বে পিনাকীদার সাথে প্রায় ৬ হাজার ওয়ারডের বিতর্ক করে উনাকে বোঝাতে পারি নাই , আমরা যারা নিজেদের বর্তমান ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক্টিভিস্টের কাজ করি, আমাদের একটা ব্রড এলায়েন্স তৈরি করতে হবে। এইটা প্রথম ও প্রধান কাজ। এই এলায়েন্স বড় করতে হলে, যে যে একটি নতুন স্বপ্ন সকলকেই ঠাই দিতে হবে। এমন কি যারা এক সময়ে এই ফ্যাসিজমের পক্ষে ছিল কিন্তু এখন নিজের ভুল বুঝতেছে তাদের সাথেও কানেক্ট করতে হবে। যাদের এই ফ্যাসিস্টদের পতন ও নতুন স্বপ্নের আকাঙ্ক্ষা সৎ তাদের সকলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। বন্ধুতা তৈরি করতে হবে। কানেক্ট করতে হবে।কিন্তু, পিনাকিদাকে কোন এলাই তৈরি করতে হয়না, তিনি শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতি প্রমোট করতেছেন।ফরহার মজহারের মত ব্যক্তিত্ব যিনি, মাত্র কিছু দিন আগে গুম হয়ে ফিরে এসেছেন তিনি ব্যক্তিগত একটা সৌজন্য দেখিয়েছেন,সেইটা পিনাকিদার কাছে সাপের মুখে চুম খাওয়া। পিনাকিদাকে সকল ফ্যাসিস্ট এনাবলারের মৃত্যু পর্যন্ত হেট করতে হবে। কারণ উনার মারকিন সমাজচিন্তক বলে গ্যাছে।আপনি যদি উনার সমান শত্রু মনোভাব বজায় রাখতে না পারেন, তবে, আপনি শত্রু মিত্র চিনেন না।
ক্ষমতা কিভাবে তৈরি হয়, ক্ষমতা কি ভাবে জেকে বসে এইটাকে লেয়ার লেয়ারে কিভাবে উন্মোচন করতে হবে সেই খানে কিভাবে হোম ওয়ার্ক করতে হবে সেই গুলো উনার দরকার নাই। উনি জাস্ট পুরো ক্ষমতার পাটাতনকে উপরে ফেলতে চান।উনি জানেন না। এইটা একটা দীর্ঘ জারনি। হার্ড।। মারজিনাল গেইন। এই গুলোর জন্যে উনি প্রস্তত না। উনার এটিচুড হচ্ছে। একটা বুলডোযার দিয়ে, পথের পোকা মাকড় মাড়িয়ে যাবেন। ইন রিয়ালিটি এই লড়াই এ একটা বুল ডোজার দাঁড়িয়ে আছে, একটা হিমালয় পরিমাণ বাধার সামনে। তাকে আপনি গুড়িয়ে যেতে পারবেন না। তাকে আপনি যৌথতায়, বন্ধুতায়, সকলকে এক করে স্ট্রাটেজিকালে পেরোতে হবে ।এখানে সম্পর্ক লাগবে, মানবিকতা লাগবে, যূথবদ্ধতা লাগবে।এই কারনে আমার মনে হয়, বুলডোজার দিয়ে কিছু পোকা মাকড় পারিয়ে বিজয়ের যেসব চিহ্ন তিনি তৈরি করছেন, তাতে উনার সমর্থকদের মনে প্রথম আলোর চিন্তকদের মতই আরেকটা অল্টারনেট রিয়ালিটি তৈরি হয়, তারাও বুঝতে পারেনা এই জারনি কত দীর্ঘ, কত কঠিন এবং কত পরিশ্রমের । তারা , তারা পিনাকিদার প্রতিক্রিয়াশিলতায় একটা সমাধান এবং বিজয় দেখতে পান।
শেখ হাসিনার মত অনেক ফ্যাসিস্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কয়েক দশক শাসক করেছে। তাদের দীর্ঘায়ুর কারণ নয় যে রাষ্ট্রের নাগরিকেরা বুঝতে পারে নাই যে, এই শাসক অনৈতিক। বরং, এই ফ্যাসিস্টরা দীর্ঘ স্থায়ি হয়েছে কারণ, এই শাসকের বিরুদ্ধে কোন সাস্টেনেবল জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠে নাই। কোন কন্সেন্সাস গড়ে উঠে নাই।এবং কন্সেনাস বা এলায়েন্স গড়ে তোলার প্রথম শর্ত, আপনাকে বন্ধুতা তৈরি করতে হবে, শত্রুতা নয়। মানবিকতার রাজনীতি করতে হবে , নিশ্চিহ্নের রাজনীতি নয়।পিনাকি দার এই রাজনিতির রিস্ক কি ?রিস্ক হচ্ছে অবিশ্বাস। উনি সমাজের একটি অংশকে দেখেন। যারা ওনার ওয়ালে এক্টিভ। যারা বিক্ষুব্ধ এবং যাদের মধ্যে রিএকশানটা খুব শক্তিশালী। কিন্তু সমাজের ৯০% মানুষকে কিন্ত আমরা দেখিনা। যারা চুপ করে থাকে, সব কিছু দেখে যায়। সব কিছু পড়ে কিন্তু কোথাও কমেন্ট করে না।তারা কিন্তু সকলকে জাজ করছে।
সে কি ভাবছেনা , যে আরেক জনকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতি করে, সে আমাকে নিশ্চিহ্ন করবেনা, তার গ্যারেন্টি কি ? তাই আমি বরং স্ট্যাটাসকোতেই বসে থাকি। কারন স্ট্যাটাস কো অন্তত আমাকে নিশ্চিহ্ন করছেনা?আমি বলবো এই চিন্তা পদ্ধতি বাংলাদেশের ফ্যাসিজমকে দিরঘায়িত করার সব চেয়ে শক্তিশালী ইলিমেন্ট।এই চিন্তাকে ভাংতে হলে আবার আমাদের বন্ধুতা লাগবে, মানবিকতা লাগবে, দেখাতে হবে, আমরা ওদের থেকে বেটার। দেখতে হবে আমাদের একটা স্বপ্ন আছে, যে স্বপ্ন ওদের স্বপ্নের মত নকল নয়। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ ও আমাদের দেখাতে হবে।তখন সেই স্বপ্নের পেছনে সকল পক্ষের ঐক্য হবে। সেই ঐক্য তৈরি করতে পারলে আওয়ামী লীগ এক সেকেন্ড টিকবে আমি এইটা বিশ্বাস করিনা।আমি পিনাকিদার প্রশংসাও করি। উনি অনেক সত্য কথন বলতে পারেন, যা আমরা পারি না।
এক দিকে উনি সাহসী মানুষ, অন্য দিকে, উনি মারক্সিস্ট চিন্তক হিন্দু বিপ্লবীর সন্তান। সিপিবি এস্টাব্লিশ্মেন্টের থেকে আসার এলিট প্রিভিলেজ অনেক হাই। অনেক হারালেও উনাকে, অনেক কিছু হারাতে হবেনা। উনার ব্যাক গ্রাউন্ড উনাকে রক্ষা করবে। কিন্তু, আমাদের সবার সেই প্রভিলেজ নেই। বাংলাদেশে যারা আছে তাদের সেই প্রিভিলেজ নেই।আমাদের নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে হয়। বন্ধুতা এবং সম্পর্ক গড়তে হয়। এমনকি যারা আমাদের শত্রু জ্ঞান করে তাদের সাথেও।আশা করি পিনাকিদা বুঝত পারবেন, এতো টুকু সম্পর্ক বন্ধুতা যদি না থাকতে পারে তবে বাংলাদেশে হাসিনার বিরুদ্ধে কখনই কোন এলায়েন্স তৈরি হবেনা। উনি উনার পাঠকদের প্রতিক্রিয়াশিল মনে অগ্নি ঝরিয়ে অনেক জনপ্রিয় হবেন বটে কিন্তু, হাসিনার শাসন দীর্ঘায়িত হবে মাত্র।