এমন মজার টাইমে ফেসবুক বন্ধ রাখলে গুনাহ হবে। আমার বই আবার গোল্লায় যাক।
কাল জাতিসংঘ যে প্রতিবাদ লিপি পাঠাইছে সেইটা এখন পর্যন্ত দেওয়া সব চেয়ে বড় থাপ্পড়।
এইটার থেকে আপনি বুঝতে পারবেন এদের দৌড়।
একটা মিথ্যা ঢাকতে, আরেকটা মিথ্যা তারপরে সেইটাতেও ধরা।
এইটা খুব পরিষ্কার আমাদের বিরোধী দলের লিজেন্ডারি ইঙ্কম্পিটিন্সের কারণে এই সরকার এবং তার এজেন্সি গুলো ফ্রি রান পাইতেছে। নইলে সামান্য চাপের মুখে এরা যেভাবে কেঁচে গুবলেট করে ফেলতেছে- এইটা আসলে দেখায় দেয় কিছু ডিফেন্সলেস প্রতিদ্বন্দ্বীকে গুম করা, অত্যাচার করা বা মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানো বাদে কোন ধরনের সফিস্টেকেশান তাদের নাই।
পুরো আলোচনায় একটা বিষয় খুব জরুরি তা হলো- ডিজিএফআইএর কেনা IMSI Catcher যেইটার ট্রেনিং আর্মি অফিসাররা নিয়েছে সেই অস্ত্রটি ব্যবহার করে বিরোধী দল এবং সাধারণ নাগরিকদের ফোন শুধু নয় মাফিয়া তন্ত্রের অপারেটররা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বা তাদের গার্ল ফ্রেন্ডদের হ্যাক করে তাদের গুন্ডাতন্ত্রের প্রতিপক্ষ নিধন করতেছে।
এই IMSI Catcher কোন ভবন থেকে অপারেট হচ্ছে তা সকলেই জানে কিন্তু, এইটা নিয়ে কেউ কথা বলার সাহস বাংলাদেশের মিডিয়ার নেই। এই ডকুমেন্টারি থেকে আমরা অফিসিয়ালি জানলাম, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা সন্ত্রাসবাদ দূরীকরণের নামে IMSI Catcher দিয়ে বিরোধী দল, নাগরিক এবং গডফাদারদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ফোন হ্যাক করছে- বাংলাদেশ আর্মির অঙ্গ সংগঠন গুলো ।
একাত্তর টিভিতে, সময় টিভিতে যে কোন সেনসিটিভ সময়ে বিভিন্ন বিরোধী দলিয় নেতার ফোন যে আলাপ সরবরাহ করা হয় তা এই যন্ত্রটি ব্যবহার করেই করা হয়- ইনারাই সরবরাহ করেন ।
মূলত একটি অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্যে, পুরো রাষ্ট্র যন্ত্রের সকল রিসোর্স ব্যয় করা হচ্ছে।
কেন এইটা আমরা মেনে নিবো ?
এই গুলো আলজাজিরার ডকুমেন্টারির গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ?
শুধু মাফিয়া পরিবারের, রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছানোর বিষয়টিই নয়, আমাদের টাকায় বেতন নিয়ে ডিজিএফআই কেন নাগরিকের ফোন ট্যাপ করবে, কোন অধিকারে, কোন সাহসে এই প্রশ্ন গুলোও করা দরকার।