আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট বন্ধের বিপক্ষে। এবং আমি তাদের সাথে একমত যারা বলে, ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট বন্ধের পেছনে আছে লিবারেল হিপোক্রেসি।
আমি এই যুক্তিতেও একমত নই যে, টুইটার বা ফেসবুক যেহেতু রাষ্ট্রীয় এন্টিটি না, তাদের বাক স্বাধীনতার প্রতি কোন আনুগত্য রাখার দরকার নাই। কারণ বাক স্বাধীনতা রক্ষার দায় শুধু রাষ্ট্রের।
লেট মে স্টার্ট উইথ ডা লাস্ট আর্গুমেন্ট। যদি ভায়োলেন্স ইন্সাইট করার জন্যে বা মিথ্যা বলে একটি জনগোষ্ঠীকে খুঁচিয়ে তার মনের ঘৃণা জাগ্রত করার জন্যে কোন নেতা বা কোন গোষ্ঠীকে ব্যান করতে হয়- তবে সবার আগে ব্যান করতে হবে, হিলারি ক্লিনটন কে। সে লিবিয়ানদের বিরুদ্ধে , গাদ্দাফির বিরুদ্ধে ঘৃণা ইন্সাইট করে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে লিবিয়ানদের রাস্তায় নামিয়েছে, তাদের বিভিন্ন ভাবে ব্যাকিং দিয়েছে এবং গাদ্দাফিকে হত্যা করেছে। পুরো একটা রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে।
ব্যান করা উচিত পুরো ইজরাইলের সকল রাজনীতিবিদকে, তারা যেভাবে প্যালেসেটাইনিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা এবং ঘৃণা জাগ্রত করে। টুইটার বা ফেসবুক কি সাহস করবে ? করবেনা। তাহলে কোন শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ? তাও তার চলে যাওয়ার সময়?আমি এই কাজ গুলোকে লিবারেল এস্টাব্লিশ্মেন্টের হিপোক্রেসি হিসেবে চিহ্নিত করি, যারা আমেরিকার এনার্জি সিকিউরিটি রক্ষা আমেরিকান ভ্যালু রপ্তানি, আমেরিকা বাণিজ্য স্বার্থ রক্ষা এবং আমেরিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে বিশ্বের কোটি কোটি নাগরিকের অধিকার হরণ করেছে।, ১০ লক্ষ ইরাকি হত্যা করেছে এবং মুসলমানদের সারা বিশ্বে ডিহিউমানাইজ করার প্রক্রিয়াকে – গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বাক স্বাধীনতার প্যাকেজ মুড়ি দিয়ে রাখে।
আমি ডনাল্ড ট্রাম্পকে পছন্দ করি কারণ সে গাটস রাখে বলতে মুসলমানেরা বেমানব, তাদেরকে আমার দেশে ধুকতে দিবানা, সে চাইনিজ প্রিমিয়ারকে বলে ওদের লক করে রাখো। ট্রাম্প কে আমি পছন্দ করি কারণ সে জানে, বিগত ৪০ বছরে গণতন্ত্র মানবাধিকার এবং বাক স্বাধীনতার নামে আমেরিকা ইরানে, ইরাকে, আফগানিস্তানে, মধ্যপ্রাচ্যে যে অত্যাচার চালিয়েছে তা ছিল ৫০% আমেরিকার কাছে একটা ক্রুসেড। ট্রাম্প এই ৫০% আমেরিকাকে বিশ্ব জনমতের সামনে নিয়ে এসেছে।
আমাদের চোখের সামনে দেখিয়েছে, আমেরিকান এক্সপ্সনালিজমের নামে আমেরিকান ভ্যালু রপ্তানি করা দেশটির মেইনস্ট্রিমরা কাঠ মোল্লাদের মতই বোধ হীন- অন্ধ বিজ্ঞান বিমুখ জনগোষ্ঠী। এই লোকেরাই রিয়াল আমেরিকা। এরাই আমেরিকা তৈরি করেছে। ইউ ইমিগ্রিন্ট নট। ‘ফলে এদের কথা মতই আমেরিকা চলেছে। এবং চলবে। কিন্তু লিবারেলরা তাদের ঢেকে রাখবে। লিবেরালদের দ্রোণ হামলা হবে, গণতন্ত্র রপ্তানির নামে। কিন্তু ট্রাম্প এইটা সরাসরি স্বীকার করবে।
লিবেরাল এস্টাব্লিশ্মেন্টের চাপে ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে, এই ৫০% আমেরিকানদের ভয়েজ কে বন্ধ করার জন্যে । ডেমোক্রেটরা এই মেইন্সট্রিমের ভ্যালু সিস্টেমকে আমলে নিয়েই তাদের দেশ চালাবে কিন্তু, তার সেইটা স্বীকার করবেনা। কারণ, এই ৫০% হচ্ছে রিয়াল আমেরিকা।আমি এই ৫০% আমেরিকান যারা বিশ্ব মানবতাকে দাবিয়ে রাখতে চায়, যাদের হাতে নিউকের চাবি আছে, যারা গ্লোবাল ওয়ারমিং অস্বীকার করে- তাদের ভয়েজ শুনতে চাই। তাদেরকে সামনে থেকে দেখলে তাদেরকে ডিল করা আমাদের জন্যে সহজ হয়। কিন্তু লিবেরালরা ওদের লুকিয়ে রাখার জন্যে, ট্রাম্পের ভয়েজ বন্ধ করতে চায়। তাই তাদের চাপে টুইটার ফেসবুক, ট্রাম্পকে ব্যান করেছে। কিন্তু ট্রাম্প ৫০% আমেরিকানের জাতি ঘৃণার একটা ম্যানিফেস্টেশান মাত্র। তাই ট্রাম্পকে ব্যান করা মানে, এই ৫০% আমেরিকানের মুখ বন্ধ করা। যা আমি অগ্রহণযোগ্য মনে করি।আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং এই ৫০% আমেরিকানের বাক স্বাধীনতা চাই। এবং ট্রাম্পের একাউন্ট বন্ধ করাকে প্রাসচাত্যের লিবারেল এসটাব্লিশ্মেন্টের ফান্ডামেন্টাল হিপোক্রেসি বলে মনে করি।