একটা ভিডিও দেখলাম।
৭/৮ জন পুলিশ লকডাউনে একজন মধ্যবয়সী ডাক্তার ভদ্রমহিলার গাড়ি আটকেছে। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন, ডাক্তারদের হেনস্থা না করার জন্য পুলিশের সাথে বিতর্ক করছেন।
পুরো ভিডিওটা দেখে আমি আবুল হয়ে গেছি।
কারণ আমি বুঝতে পারতেছি না এখানে কাকে সঠিক বলবো, কাকে ভুল বলব- পুরোপুরি একটা নন জেনার ব্ল্যাক কমেডি। এইটা কি আমি কোন জেনারেই ফেলতে পারি নাই।
একদিকে এলিট সফিস্টিকেটেড ডাক্তার ভদ্রমহিলা দাবি করেছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অন্যদিকে দুই জন সিনিয়র পুলিশ অফিসার দাবি করতেছে তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
উনি একজন ডাক্তার লকডাউন এর সময় তাকে আটকানো অবশ্যই অনৈতিক।
কিন্তু একই সাথে তিনি দেখাচ্ছেন তোমরা জানো আমি কার মেয়ে?
আরেকদিকে তিনি বলতেছেন লকডাউন এর সময় ডাক্তার হেনস্থা বন্ধ করতে হবে হবে হবে।
অন্যদিকে পুলিশ বলতেছে আমাদেরকে আপনি তুই বলে ডাকছেন কেন।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা।
অনেকগুলো নৈতিকতা অনৈতিকতা, এমনভাবে প্যাঁচ লেগে গেছে এই ভিডিওতে। আমি ঠিক বুঝতে পারতেছি না এই ভিডিওতে কে হিরো কে ভিলেন।
কারণ একদিকে যেমন ডাক্তারদের রাস্তায় হেনস্থা করা ঠিক না, ঠিক তেমনি একজন ডাক্তার তার আইডি কার্ড দেখাবেনা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নিজেকে দাবী করবে, বলবে আমি কে আপনি চিনেন কিনা, এইটাও অনিতিক। এরপরে পুলিশ নিজের সরকারি পরিচয় বাদ দিয়ে বলবে, আমি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান , আমার স্যারও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান।
ঢাকার রাস্তায় চেতনা যুদ্ধ লেগে গেছে।
কিয়েকটা অবস্থা।
জার্মান ভাষায় ভারব এবং এডজেকটিভ গুলো খুব ইন্টারেস্টিং। এদের মৌলিক কিছু শব্দ আছে। এইগুলো দিয়ে তারা নতুন নতুন অনুভূতি তৈরি করে।
যেমন কনফিউজড শব্দের জার্মান হচ্ছে durcheinander।
durcheinander তিনটা শব্দ। যার লিটারেল অর্থ একটা আরেকটার মধ্যে প্যাঁচায় যাওয়া। কিন্তু কনফিউজড বোঝাতে জার্মানরা durcheinander বলে।
এই ভিডিও দেখে আমি ডুরসআইনআন্ডার হয়ে গেছি।।
Please see the full video and again write a review article
দুইটা একই গোয়ালের গরু। তার মাঝে একটার শিং ছিলো বড়। তাই আর একটা বদলি হয়ে গেছে।