কিছু প্রশ্ন রেখে যাই

কিছু প্রশ্ন রেখে যাই,

ভারতের জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে ১০ গুন বেশী। সেখানে সংসদে প্রকাশিত  হিসেবে অনুসারে ডক্টর মৃত্যু বরন করেছে, ১৬২ জন নার্স ১০৭ জন। বাংলাদেশের BMA এর হিসেব অনুসারে ডক্টর মারা গ্যাছে, ১৩৩ জন, BBGNS এর হিসেবে নার্স ২০ জন । কেন কিভাবে ?

ভারতের মেডিকেল এসোসিইয়েশানের মতে, কভিড রিলেটেড কমপ্লিকেশান হিসেব করলে,এই সংখ্যাটি ৭৪৪। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কভিড রিলেটেড কমপ্লিকেশানের কোন হিসেব নেই।

কভিডে সাংবাদিক মৃত্যুর হারে, বাংলাদেশের স্থান ষষ্ঠ। এর মধ্যে ইন্টেরেস্টিং ডাটা হলো, ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে  কভিডে মৃত্যু বরন করেছে ৫৬ জন জারনালিস্ট , কিন্তু ১৬ কোটি  বাংলাদেশে সাংবাদিক মরেছে, ৪৪ জন।

এতো পার্থক্য  কেন ?

বাংলাদেশে ১০ হাজার কভিডে মৃত্যু, এর মধ্যে ৫ জন এমপি । । আরো দুই জন এম পি ডেথ বেডে।

পৃথিবীর কোন দেশে, এমপি মৃত্যুর হার, ১.৬৬%।

আমি ব্রাজিল ভারত চেক করেছি, লেটেস্ট ডাটা পাই নাই। কিন্তু, পুরাতন ডাটায় কোন দেশে  এমপিদের মধ্যে  এতো মৃত্যু খুঁজে পাই নাই।

কেমনে কি ?

সরকারি চাকুরী করা আমার একটি বন্ধুদের সারকেলে, ১২০ জনের মধ্যে আমি এখন পর্যন্ত ৯ জনের পিতামাতার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। অপর একটি সার্কেলে ১০০ জনের মধ্যে ৬ জন।১০০% ভেরিফায়েবল  ভয়াবহ একটি নাম্বার।

কেমনে কি ?

ইংল্যান্ডে, অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি এবং ক্যারিবিয়ানদের মৃত্যুর হার সব চেয়ে বেশী। বাংলাদেশি মৃত্যুর হার  পাকিস্তানি বা ভারতিয়দের চেয়ে বেশী। এই বিষয়ে  কিছু গবেষণা  থেকে কোট করছি।

England and Wales, males of Black African, Black Caribbean and Bangladeshi ethnic background had the highest rates of death involving COVID-19, all exceeding 250 deaths per 100,000 and significantly higher than all other ethnic groups.

সূত্র অফিস অফ ন্যাশনাল স্টাটাস্টিক্স

অপর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে,

, people of Bangladeshi ethnicity had around twice the risk of death than people of White British ethnicity.

‘People of Chinese, Indian, Pakistani, Other Asian, Caribbean and Other Black ethnicity had between 10 and 50% higher risk of death when compared to White British.’

সূত্র ঃ Disparities in the risk and outcomes of COVID-19, Public Health England

এই গবেষণা অনুসারে  বাংলাদেশিদের মৃত্যুর চান্স ২০০% বেশী। অন্য দিকে ইন্ডিয়ান  পাকিস্তানি ইত্যাদির ১০% থেকে ৫০% হায়ার রিস্ক।

ইংল্যান্ডে যদি ডায়াস্পরার মধ্যে মৃত্যুর হার, বাংলাদেশিদের সব চেয়ে বেশী হয়, বাংলাদেশে এসে এই সংখ্যাটি কমে আসে কেমনে ? বিদেশে তো লোক আরো ভালো খায় জানতাম।

কেমনে কি ?

জানুয়ারি ৩ এ প্রচারিত বনিক বার্তার রিপোর্ট অনুসারে, কভিডে সৌদি আরবেই মৃত্যু হয়েছে ৯৮৯ অভিবাসীর। সং যুক্ত আরব আমিরাতেও বাংলাদেশী কর্মীদের মৃত্যুর হার বেশি। গত জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২৮ জনের। তাদের মাঝে ১২২ জনই বাংলাদেশী নাগরিক। এছাড়া কুয়েতে কভিড-১৯-এর কারণে মৃতের সংখ্যা ৩৮২। তাদের মধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা ৬০।

২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে ২ হাজার ৩৩০ জনের বেশি বাংলাদেশী কর্মী করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

অভিবাসীদের যে এজ কোহোরট কভিডের কিন্তু সেই এজ কহরটের লোকেরা খুব একটা মৃত্যু বরন করে না।

কিন্তু, গত ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে ২ হাজার ৩৩০ জনের বেশি বাংলাদেশী কর্মী করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

কোন উত্তর দরকার নাই।

ডায়াবেটিক বাংলাদেশের জন্যে কিছু প্রশ্ন রেখে গেলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.