বাংলাদেশের ৮১.৩% রোগীর মধ্যে সাউথ আফ্রিকান ভারিয়েন্ট B.1.351 পাওয়া গ্যাছে।

ঘনটা খানেক আগে, আইসিসিডিআরবি এই ছবিটি শেয়ার করেছে। এইটা প্রচণ্ড ডিপ্রেসিং একটা নিউজ।

আইসিসিডিএরবি জানিয়েছে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ৮১.৩% রোগীর মধ্যে সাউথ আফ্রিকান ভারিয়েন্ট B.1.351 পাওয়া গ্যাছে।

আইসিসিডিআরবির প্রকাশিত এই চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন, এই   ভারিয়েন্ট টা  কিভাবে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের সব চেয়ে ডোমিনেন্ট ভারিয়েন্ট হয়েছে।

কয়েক দিন আগে জার্মানির প্রাইম মিনিস্টার এঞ্জেলা মারকেল স্টেট গুলোকে লক ডাউন কার্যকর করার জন্যে চাপ দিতে  বলতেছিল এই ভারিয়েন্ট গুলো , লিটারিলি নতুন ভাইরাস।

কেন এইটা ব্যাড নিউজ।

কারণ, অক্সফোরডের এস্ট্রোজানকা টিকা , যেইটা সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে সেইটা সাউথ আফ্রিকান B.1.351  ভারিয়েন্টের বিপরীতে  কম কার্যকর।

এইটা কোন মতেই, বলা হচ্ছেনা,  সিরামের টিকা  কার্যকর নয়। বলা হচ্ছে কম কার্যকর।

তার মানে ভ্যাক্সিন নেওয়ার সুযোগ থাকলে, আপনি এবং বিশেষত সিনিয়র সিটিজনেরা অবশ্যই ভ্যাক্সিন নেবেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরেও বিশেষত সিনিয়র সিটিজেন এবং ইমিউন কম্প্রোমাইজড ব্যক্তিরা অবশ্যই  সতর্ক থাকবেন।

এইটা টেরিব্লি ব্যাড নিউজ। কারণ আমরা অনেকেই আশা করেছিলাম যে, এপ্রিল নাগাদ গরম আসলে ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসবে। এবং আগামী শীতের আগে কভেক্স বা অন্যান্য ইনিশিয়েটিভের সুবাদে পপুলেশানের  বড় একটা অংশ ইমিউনাইজড হয়ে যাবে।

স্যাডলি, নট টু বি।

কারণ, বাংলাদেশের ভ্যাক্সিন পাওয়ার যে দুইটা সোর্স, কোভেক্স এবং ইন্ডিয়া দুইটাই এস্ট্রোজানকার ভ্যাক্সিন। যেইটা এই সাউথ আফ্রিকা ভারিয়েন্টের এগেনস্টে কম কার্যকর।

প্লিজ কেউ এসে বলবেন না, প্যানিক ছড়াচ্ছেন কেন ?

বাংলাদেশের ৩০০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বিগত এক বছরে। আমার নিজস্ব  একটা প্রফেশনাল সার্কেলে, ১২০ জন কলিগের মধ্যে ৯ জনের পার‍্যেন্টস মারা গ্যাছে। যেইটা একটা অবিশ্বাস্য রেশিও।

সাংবাদিক, ডাক্তার, ডায়াস্পোরা-যে হিসেব গুলো মোটামুটি সততার সাথে করা হয় সেই সব বেশ কিছু হিসেবে বাংলাদেশে কভিডে মৃত্যুর হার, পৃথিবীর সব চেয়ে বেশী হার গুলোর একটি।

এস সাচ বি সিউর, হিউজ নাম্বার অফ পিপল আর ডাইং। সরকারের ডাটা একটা বিশ্রী জোক। 

সাইনটিফিক  মেথডের উপরে আস্থা রাখার, ফলাফল হচ্ছে- ফলাফল ভুল হতে পারে, হবে।

এবং সেই ভুল ফলাফল  থেকে, আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে থাকবে। এইটাই সাইন্টিফিক থিঙ্কিনের বাস্তবতা।

কিন্তু ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসকারিরা শুরু থেকেই জানে সব কিছু ষড়যন্ত্র, তাই তাদের সিদ্ধান্ত কখনই পরিবর্তিত হয় না।সব কিছুই তাদের জন্যে তাদের  পূর্ব নির্ধারিত বিশ্বাসের  কনফারমেশান।

টু বি ফেয়ার, সাইন্টিফিক মেথডের মাধ্যমে  পাওয়া  সিদ্ধান্ত গুলো এতো পরিবর্তিত হচ্ছে, আমি নিজেও হতাশ। কিন্তু স্টিল নিজের এবং নিজের  পরিবারের বিশেষত সিনিয়র সিটিজনদের প্রান যদি আপনার কাছে জরুরি হয়্‌ তবে সাইন্টিফিক মেথডের মাধ্যমে জানা, ক্রম পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত গুলোর উপরেই আপনার আস্থা রাখতে হবে।

তাদেরকে শক্ত  ভাবে    কয়ারাইন্টাইন করুন, মাস্ক পরুন, যথা সম্ভব  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। 

ইট লুক্স লাইক ইটস এ ভেরি ভেরি লঙ জার্নি। এ ভেরি হরিবল জার্নি।

🙁

আল্লাহ আমাদের জাতিকে হেফাজত করুন।

আইসিসিডিআরবির গবেষণার  লিঙ্ক 

https://www.icddrb.org/news-and-events/news?id=874…

Leave a Reply

Your email address will not be published.