তুহিন খানের এই আলাপ টা ইন্টেরেস্টিং

তুহিন খানের এই আলাপ টা   ইন্টেরেস্টিং।

অনেক গুলো প্রশ্ন তিনি অবতারণা করেছেন। কিন্তু আমার কাছে এই আলাপটার প্রধান টেক এওয়ে হলো তিনি দেখাচ্ছেন, কিভাবে সাধারণ মুসল্লিদের নিজস্ব এজেন্সিতে সংগঠিত  বিক্ষোভে ছাত্র লীগ ও পুলিশের হামলাকে – হেফাজতের আন্দোলন হিসেবে স্টিগ্মাটাইজ করা হচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন দুইটি বর্গকে এক করে দেখানো হচ্ছে।

আমরা সবাই মিলে এই ন্যারেটিভে পা দিচ্ছি।

হেফাজতের নেগোসিয়েশান নিয়ে তুহিন খানের মন্তব্য  গুলো নিয়ে আমার  অনেক পুরাতন একটি অব্জারভেশান আছে তা  হলো, বাংলাদেশের হুজুরদেরকে খুব অল্প পয়সায় কিনা যায়।

এই ফ্যাসিস্টের রাষ্ট্রে বেচে থাকতে   নেগোসিয়েশান সবাইকেই করতে হয় , কিন্তু, কিছু দিন বিপ্লবী আলাপ তারপরে সেই বিপ্লবী আলাপের দ্বারা তৈরি পলিটিকাল ক্যাপিটাল  নেগোসিয়েশানে বারগেন করা এবং কর্মীদের লাশের উপরে নগদ কিছু আদায় করে নেওয়া মৌলিক ভাবে অসৎ। সততার জায়গা থেকেও নেগোসিয়েট করা যায়, যে সততা হেফাজতের নেতৃত্বের মধ্যে আমরা দেখিনি।

হেফাজত প্রশ্নে তুহিন খানের বক্তব্য পলিটিকাল, আমার কাছে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য  মনে হয় নাই। 

কিন্তু,

সাধারণ মোসলমানের ক্ষোভ থেকে উদ্ভুত স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভকে, হেফাজতের মুভমেন্ট নাম  দিয়ে সাধারণ মোসলমানের এজেন্সিকে অস্বীকার করায়, সেই বিক্ষুব্ধ জনতাকে   হেফাজতের পলিটিকাল ক্যাটাগরিতে ফালায় -সেই পলিটিকাল ক্যাটাগরির ভিত্তিতে শত্রু উৎপাদন এবং তালেবান সমাজের  ভীতি  উৎপাদন- এই ৭১ টিভি কায়দার প্রোপাগান্ডায় আমাদের পুরো সেকুলার সমাজ যে বুদ হয়ে আছে- সেইটা   নিয়ে তুহিন খানের বক্তব্যটা ক্রিটিকাল এবং গুরুত্বপূর্ণ।

এই সেকুলার হিপোক্রেসি আমি বিএনপির পলিটিক্সেও দেখছি। বিএনপি যখন ২০১৪ এর পরে আন্দোলন করলো, তখন প্রথম আলো লিড নিউজ করতো , বিএনপি আগুনে মানুষ পোড়াচ্ছে। প্রথম আলোর কলামনিস্টরা আদাজল খেয়ে, আর্টিকেল লিখতেন, ক্ষমতায় যেতে অন্ধ একটি দলের, গন বিরোধী আন্দোলন  বন্ধ করতে হবে।

সেই আন্দোলনে বিএনপির অসংখ্য কর্মীকে গুম করে হত্যা করা হয়েছিল। আওয়ামী লিগের লোকেরাই পরে প্রমাণ দিয়েছে, বাসে আগুন আওয়ামী লীগ দিতো। 

কিন্তু তারপরে বিএনপি যখন, তার শক্তি ক্ষয় হয়ে, চুপ মারা শুরু করলো। তখন, সেকুলাররা বলা শুরু করলো, বিএনপি শুধু মাত্র বামদের আন্দোলনের উপরে ভর করে, ইস্লামিস্টদের উপরে ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাদের আন্দোলন করার মুরোদ নেই। ইদের পরের আন্দোলন নিয়ে হাসাহাসি।

চুপ থাকলেও দোষ। কথা বললেও দোষ।

আমি হেফাজতকে কোন ধরনের রেস্পন্সবিল, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক শক্তি মনে করি না।বিগত কয়েক বছরে তাদের অনৈতিকতা ব্যাপক দেখেছি।

কিন্তু হেফাজত রাষ্ট্র চালায় না।

রাষ্ট্র চালায় আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে একটি সেকুলার এলিট স্যাটেল্মেন্ট- যারা বিকল্প কই প্রশ্নের মাধ্যমে- এই সরকারের বৈধতা রক্ষা করে। এবং সকল সৎ বিরোধী শক্তিকে ডেলিজিটিমাইজ করে।

আমি এই সেকুলারদের ভিক্টিম ব্লেইমিং  হিপোক্রেসিকে প্রশ্ন করছি।   

যাক গে। তুহিন খানের আলাপ টা পড়েন। ইন্টেরেস্টিং আলাপ।

———–

টু দ্য পয়েন্টে আসি৷

আজ এ পর্যন্ত যা যা ঘটছে, তার সূচনাটা একটু দেখি। মোদি বাঙলাদেশে আসবে। ডান-বাম-সেন্ট্রাল সবাই কর্মসূচি দিছেন। সবখানে মাইরপিট কমবেশি হইছে৷ শাল্লার ঘটনার পর হেফাজত অফিশিয়ালি বলছে, তারা মোদিবিরোধী বিক্ষোভ করবে না।

থামেন। হেফাজতের এই সিদ্ধান্তরে কি স্বাগত জানাইছিলেন তখন, একজনও? জানান নাই। উলটা এই সিদ্ধান্তের কারণে তাদের বাকশালের দালাল বলছেন। বলছেন যে, শাল্লার ঘটনা দিয়া মোদিরে হেফাজত হেল্প করছে এবং এখন লেজ গুটাইয়া ময়দান ছেড়ে জননীর কোলে আশ্রয় নিছে। ওকে ফাইন।

শুক্রবার কোন কর্মসূচি হেফাজতের ছিল না। সাধারণ মুসল্লি, মাদরাসা শিক্ষার্থী, হেফাজত ও আলেম-ওলামাভক্ত সাধারণ মানুশেরাও অনেকেই, হেফাজতের এই আন্দোলন না করার ঘোষণা মানেন নাই৷ তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বিক্ষোভ করতে নামছেন। এবং সেই বিক্ষোভের জেরেই পরবর্তী ঘটনাগুলা ঘটছে।

এখন আপনাদের রেটরিকটা কী? সেম শিট। হেফাজত সবাইরে আন্দোলনে নামাইছে। ‘সাম্প্রদায়িক’রা মোদিরেই হেল্প করতেছে৷ হেফাজতের ‘উস্কানি’তে মানুশ খুন হইছে। ফাইন।

এখন হেফাজতনেতা মামুনুল হক নরম সুরে কথা বলতেছেন। কেন বলতেছেন, তা একটু পরে বলি। এই সিদ্ধান্তটারেও কি কেউ স্বাগত জানাইছেন? বলছেন কেউ যে, মামুনুল হকের এই সিদ্ধান্ত সঠিক? না। এই সুর নরম করা নিয়া আপনাদের বক্তব্য হইল, আগেই বলছিলাম, হেফাজত সরকারেরই এজেন্ট, তারা সময়মত ঠিক পল্টি মারবে।

অর্থাৎ, আন্দোলন করব/করব না, যেকোন পরিস্থিতিতেই হেফাজতের ব্যাপারে আপনার অ্যাসেসমেন্ট হইল, এরা যা করতেছে তা খারাপ।

সরাসরি আলাপে আসেন।

আপনি কী চান? হেফাজত আন্দোলন করুক? নাকি চুপ থাকুক? কোনটা চান পষ্ট বলা দরকার না? শুক্রবারের আন্দোলনে হেফাজতের হাইকমান্ডের কোন উদ্যোগ বা পারমিশন ছিল না। তারা আসছেনই অনেক পরে, এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কী করা দরকার, তা নিয়া এখনও হেফাজতের ভেতরে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে৷ আজ সাভারে আলেমরা প্রোগ্রাম করতে চাইলে, সেখানকার হেফাজত-প্রতিনিধি তাতে বিশেষ সায় দেন নাই। হেফাজত যখন চুপ থাকে, তখন আপনাদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু কেন হন না? আন্দোলন করলেও বেজার, চুপ থাকলেও বেজার। কারণ?

কারণ, হেফাজত যখন চুপ থাকে, তখন মূলত সরকারের সাথে তাদের নেগোসিয়েশান হয়। এই নেগোসিয়েশানরে আপনারা খারাপভাবে দেখান হেফাজতের তরফে; সরকারের তরফে আলাপটা ওঠে এইভাবে যে, লীগ হেফাজতরে ছাড়ুক৷ সরকারের সাথে নেগোসিয়েশানে থাকে তো সবাই, হেফাজত থাকলে ঝামেলাটা হয় এই যে, তখন সরকারের কিছু নেক নজর হেফাজত পায়। কওমি ছাত্ররা (প্রহসনের হউক, তাও) স্বীকৃতি পায়, সরকারি মহলে হুজুরদের প্রভাব বাড়ে, কালচারালি ইসলামপ্রিয় জনগণ শক্তিশালী হয়। সরকারের কাছাকাছি আপনারা থাকতে পারেন না বেশি একটা। তখন হেফাজত হয় ফ্যাসিবাদের দোসর।

আবার, হেফাজত আন্দোলনে নামলে হয় পুরা উলটা। তারা নামে লাখে লাখে, রাজপথ ভইরা ওঠে, রাষ্ট্রযন্ত্র নড়েচড়ে৷ তখন আপনাদের ভয় হয়, এই বুঝি হেফাজত ক্ষমতা নিয়া নিল। তাই, তখনও আপনারা বিরোধিতা করেন তাদের।

এই যে সর্বাবস্থায় হেফাজত-বিরোধিতা, বর্গ হিশাবে হেফাজত ও সাধারণ মোসলমানদের সাথে এক অলঙ্ঘনীয়, অমোচ্য ব্যবধান, এই জিনিশের সল্যুশন করতে না পারলে কমরেড, মারা খাবেন। কোন লাভ হবে না৷

এবার একটু ‘এজেন্সি’র আলাপ করি। দেশের শতকরা ৯০% লোক মোসলমান। ২০০১ বা ২০০৩ সালে সারাদেশে যে এমেরিকাবিরোধী মিছিল হইছে, সেটার নেতৃত্ব কি সংগঠন হেফাজত দিছিল? না। কারা দিছেন? ধর্মীয় লিডাররা দিছেন। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নামছে৷ কেউ যদি ধর্মীয় জায়গা থেকে আমেরিকার ইরাক বা আফগান আগ্রাসনের বিরোধিতা করে, আপনি তারে রাইট বা রঙ যা খুশি ভাবেন, কিন্তু তার ‘এজেন্সি’ অস্বীকার করেন কেন? ‘সাধারণ মানুশ’ বা ‘জনতা’র এজেন্সি নাই?

শুক্রবারে বাইতুল মোকাররমের আন্দোলন ছিল জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। কিন্তু যেহেতু কজটা ধর্মীয়, ফলে একই দাবিতে আন্দোলনরত হওয়া সত্ত্বেও আপনি তাদের ‘সাম্প্রদায়িক’ এবং ‘হেফাজতের উস্কানিতে মাঠে নামা’ জড় পদার্থ ভাবতে পারলেন।

এই জনতা আপনার পেছনে আসলে কি তাদের ‘জড়’ ভাবতে পারতেন?

জনতার এজেন্সি স্বীকার না কইরা ‘হেফাজতের উস্কানিতে মারা গেল’ বলেন কী হিশাবে? যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসায় আমি কাল ছিলাম। হুজুররা, মুরব্বিরা ১০০ তে ১০০ ভাগ ট্রাই করছেন পোলাপানরে মাদ্রাসায় ফেরত নেওয়ার জন্য৷ তাদের শান্ত করার বহু কসরত করছেন তারা। কাজ হয় নাই৷ হুজুরদের মুখের উপর কথা বলছেন তারা, শহীদ ভাইদের লাশের বদলা নিয়া ছাড়বেন বলছেন।

ছাত্রদের এই এজেন্সিরে অস্বীকার কইরা ‘হেফাজতের উস্কানিতে প্রাণ গেল কিছু তরুণের’ বলতেছেন? প্লিজ, ওই তরুণদের সামনে গিয়া একটু বলেন। আপনি এবং হেফাজত— দুইটারেই সে অগ্রাহ্য করবে।

একটা অঞ্চলের, একটা দেশের অধিকাংশ লোক যদি সাধারণ মোসলমান হয়, তারা যদি বাইতুল মোকাররমে জুমার পরে বিক্ষোভ করে, তাইলে সেই বিক্ষোভরে ‘হেফাজতের উস্কানি’ মনে হওয়া পর্যন্তই তো আপনার দৌড় ডেভেলপ করছে৷

এদেশের জনগণ আর হেফাজতরে আপনি আলাদা করতে পারেন না, কারণ আপনি কলোনিয়াল ইন্ডিয়ায় বানানো ইনহেরেন্টলি কম্যুনাল ন্যাশনালিস্ট ও কম্যুনিস্ট ডিসকোর্সের ভিতর দিয়া, উইদাউট এনি ক্রিটিক্যাল অ্যাপ্রোচ, এদেশের ‘জনতা’রে রিড করেন। ফলে তার এজেন্সি নিয়াও আপনার বয়ান অনেকটা কলোনাইজারদের সভ্যতার বয়ানের প্রতিধ্বনির মতনই শোনায়।

তার উপর, যখন আপনি বলেন যে, লোকেরা ‘অমুকের উস্কানিতে মারা গেছে’, তখন কারে ভিলেন বানান আর কারে ইনডেমনিটি দ্যান? প্রত্যেকটা জায়গায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে লীগ৷ এইটা আপনারা নিজেদের লাইফে দেখছেন, ফেস করছেন। কিন্তু হেফাজতের পালা আসলেই আর এই ঘটনা আপনারা বিশ্বাস করতে চান না। কেন? যদি হেফাজতের উস্কানিতে ছাত্ররা মরে, তাইলে প্রত্যেকটা পলিটিকাল মিছিলে হামলার দায় তো ওই মিছিলের উস্কানিদাতাদেরই, লীগের না, তাই না?

এই আরেকটা সমস্যা। এইটা লইয়াও ভাবেন।

কালকের হরতাল নিয়া বলি। হেফাজত এখন যেসব প্রোগ্রাম দিতেছে, বা দেবে, তা কিন্তু ওই ‘এজেন্সিহীন’ ছাত্র ও জনতার চাপে। হেফাজত বরং প্রোগ্রাম দিতে অনিচ্ছুকই এই মুহূর্তে, যদ্দুর বুঝি। কিন্তু যাদের সাথী বা ছেলে বা ভাই মারা গেছে, তারা হেফাজতের এই অনিচ্ছারে কোন কেয়ার করে না, করা উচিতও না।

কিন্তু বাস্তবতা সামনে রাখা লাগবে। হেফাজতের এই আন্দোলনের ভবিষ্যত কী? নাই। মোদিবিরোধী এই আন্দোলনের বর্তমান মনজিল কী? বড়জোর খুনের বিচার চাওয়া, তাই না? যদি চূড়ান্ত কোন মোমেন্ট তৈরিও হয়,  মুশকিল ইজ, কেউ কি পাশে থাকবে? সেই পলিটিকাল কনসেনসাস, লিডারশিপ বা প্রস্তুতি, কোনটাই কি আছে আমাদের? নাই। আন্দোলন চালায়ে গেলে মানুশ খুন হবে, গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হবে। তেমন পরিস্থিতিতেও, হেফাজতরে সাপোর্ট দিয়া মোর্চা তৈয়ার করবে কেউ, তেমন বাস্তবতা আছে? নাই। বা, হেফাজতের নিজেরও কি আছে প্রস্তুতি, এই আন্দোলনটারে চালাইয়া নেওয়ার বা এরে ইফেক্টিভ কোন চেহারা দেওয়ার? প্রস্তুতি তো দূরে থাক, হেফাজত যে রাজনীতি করে, সেখানে ক্ষমতা দখলের ধারণাই নাই।

তাইলে কী হবে? আরো কিছু লোক লাশ হবে৷ দেশের বাম স্টাব্লিশমেন্ট, সুশীল সমাজ ও লীগ মিলা একযোগে তাদের ভিলিফাই করবে৷ হেফাজতের আল্টিমেটলি সেই সরকারের সাথেই নেগোসিয়েশানে যাইতে হবে৷

উপরে বিক্ষিপ্তভাবে যেসব সমস্যা অ্যাড্রেস করলাম, এগুলার সমাধান না করতে পারলে, নেগোসিয়েশানই সবার শেষ মনজিল৷ মূলত, সবাই-ই তো নেগোসিয়েশানেই আছেন, তাই না? কে কারে গালি দ্যান তাইলে?

হেফাজতের লাশের মূল্য নাই আপনার কাছে, তাইলে সে নেগোসিয়েশানই তো করবে৷  কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার আপনার ভোগ করতে চাওয়া বৃহৎ পুঁজিতে ভাগ বসাইবে তারা, এই এক বিপদ। কিন্তু নেগোসিয়েশানই তো শেষ মনজিল, আমি যতটুক দেখি। সেক্ষেত্রে, অল্প লাশের বোঝা নিয়া নেগোসিয়েশানে যাওয়া ভাল৷

এখন, যারা সাধারণ মোসলমানের লাশের মূল্য দিয়া তাদের পাশে দাঁড়াইতে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত, তারা আগাবেন, হেফাজতের আঁতাতের সমালোচনা করবেন। কিন্তু যারা হেফাজতের আন্দোলনই চান না, হেফাজতের লাশের মূল্য যাদের কাছে ‘উস্কানিতে ছেলেটা মারা গেছে’ পর্যন্ত,  হেফাজতের আঁতাত বা নেগোসিয়েশান নিয়া তারাও আলাপ তুলতে পারেন চাইলে, তবে সেইটা খুব হাস্যকরই শোনাবে আরকি, এই।

Tuhin Khan

Leave a Reply

Your email address will not be published.