মারটিন নয়েমলার বারে বারে ফিরে আসে

আবার পাখির মত মানুষ মারা শুরু হয়েছে। পত্রিকা গুলো সরকারি প্রেসনোটের বেশী ভূমিকা রাখছেনা। এই রাষ্ট্রে ঢাকা ইউনিভারসিটির পোলাপান আন্দোলন করতে পারবে, বামপন্থিরা আন্দোলন করতে পারবে, ক্ষেত্র বিশেষে বিএনপিও পারবে। কিন্তু মোল্লারা পারবেনা।

মোল্লারা আন্দোলন করলেই, তাদের গুলি করে মারা জায়েজ। কারণ মোল্লারা যদি সফল হয়, এই দেশ আফগানিস্তান হয়ে যাবে। মোল্লারা মন্দির ভাঙ্গে, হিন্দু মারে। মোল্লারা নিজেরাই বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। যে নিজে বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা, তার আবার বাক স্বাধীনতা কি। যে নিজে, আমাদের আরবান সেকুলারের নাগরিক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা, তার আবার নাগরিক অধিকার কি ?

তাই ওরে, মার। গুলি করে মার।

এই  মোল্লাদের হত্যাকাণ্ডে সবার নীরব সম্মতি আছে।

কত তাড়াতাড়ি আমরা ভুলে গ্যাছি, শাহবাগের ঘটনাবলির পরে,  এই মোল্লাদের উপরে হত্যাকাণ্ডের আমাদের নীরব সম্মতিতে, অভ্যাসে – এই রাষ্ট্র  পরে বিরোধীদলের উপরে একই পরিমাণ নির্যাতন শুরু করেছে।

আজকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে, হাটহাজারিতে পাখির মত গুলি করে মানুষ মেরে অভ্যস্ত বন্দুক কাল ঢাকা শহরে আপনার সুরম্য অট্টালিকার কিনারায় এসে আপনাকে মারবে।

সেই দিন আপনার পক্ষে দাঁড়ানোর মত কেউ থাকবেনা।

ইতিহাস কত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই, আমরা।  মারটিন নয়েমলার বারে বারে ফিরে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.