রিজার্ভ থেকে সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার পায়রা পোর্ট অথরিটিকে দেওয়া হবে

রিজার্ভ থেকে সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে  ৬৫০ মিলিয়ন ডলার  পায়রা পোর্ট অথরিটিকে  দেওয়া হবে- যারা ওই অর্থ , পায়রা বন্দর প্রজেক্টে ব্যায় করবে।

এরপরে কি ঘটবে সেই সিকুয়েন্স অফ ইভেন্টটি দেখুন  ? খুব ইন্টেরেস্টিং বিষয়টা।

মনে করুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার। সোনালি ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন রিজার্ভ থেকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে তখন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হবে, ৩৯.৩৫ বিলিয়ন  ডলার। 

সোনালি ব্যাংক বাংলাদশ ব্যাংকের কাছ থেকে  এই ডলার টা  পেয়ে একটা একাউন্টে রাখবে।

তারপর, বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালি ব্যাংক থেকে   এই ডলারটা  ফেরত নিয়ে, বাংলা টাকা ফেরত দেবে।  ধরে নিন, ৮৫ টাকা বিনিময় হারে,  ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক,  সোনালি ব্যাংককে নতুন  ৫৫২৫ কোটি টাকা ফেরত দেবে।

এরপরে যেইটা ঘটবে সেইটা হচ্ছে সব চেয়ে ইন্টেরেস্টিং ঘটনা।

সেই ৬৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের কি হবে ?

এই ৬৫০ মিলিয়ন ডলার কিন্তু  পুনরায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ফেরত যাবে। এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে আবার ৬৫০ মিলিয়ন ডলার যোগ হবে। অর্থাৎ  বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ পুনরায় ৩৯.৩৫ বিলিয়ন ডলারের সাথে, ৬৫০ মিলিয়ন ডলার যোগ হয়ে, ৪০ বিলিয়ন ডলারে রূপান্তরিত হবে।

তার মানে কি ?

তার মানে, এই রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি টেকনিকালী একটা কাগুজে এক্সারসাইজ যার মাধ্যমে জাস্ট আপনি নতুন টাকা ছাপাচ্ছেন মাত্র ।

রিজার্ভ থেকেই এই অর্থটি গ্রহণ না করেও, আপনি ঠিক একই কাজ করতে পারতেন। কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হতো না।

এই ভাবে যদি করা যাইতোই, পৃথিবীর সকল দেশ  রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার নামে, কোন  ব্যাংকে ডলার  ঢোকাবে । সেই ডলার দিয়ে  নতুন  টাকা ছাপাবে,  তারপরে সেই ডলার পুনরায় সেন্ট্রাল  ব্যাংকে ফেরত যাবে।ফলে সেন্ট্রাল ব্যাংকের ব্যালেন্স  এক ডলারও কমবেনা।  রিজার্ভ থেকে যদি এই ভাবে ঋণ নেওয়াই যাইতো, পৃথিবীর সব দেশ রিজার্ভ থেকে ঋণ নিয়ে  সাইকেল করে করে দেশের সব মানুষকে সোনা দিয়ে মুড়ে দিতে পারতো।

এইটা করা যায়না। কারণ,  আপনি রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার নাম দিয়ে নতুন টাকা ছাপাচ্ছেন মাত্র।

এইটার একটাই ফলাফল, তা হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতি।

সিম্পল  এজ দ্যাট। বুঝলে বুঝেন, না বুঝলে তেজপাতা

1 Comment

  1. ভাই, পায়রা সমুদ্র বন্দর নামে মরা হাতিরে শেষ পর্যন্ত যে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটার ব্যাপারে কি কিছু লিখবেন? ৫ বছর ধরে খুব লাফঝাঁপ করে, আর উন্নয়নের প্রোপাগান্ডা চালায়ে, ডিপ সি পোর্ট থেকে ডাউনগ্রেড করে এখন রেগুলার সি পোর্ট করার ঘোষণা দিয়েছে। কত টাকা পানিতে ফেলে তারপরে ইউটার্ন নিলো সেটার একটা ডকুমেন্ট থাকা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.