Imtiaz Mirza ভাইয়ের  শেয়ার করা এই ছবিটা আমি প্রব্লেমেটিক মনে করি। এইটা একটা সোশালিস্ট ট্রোপ। আইডেন্টিটি প্রশ্নকে রাজনীতিতে  ইরেলেভেন্ট বানানোর জন্যে বিগত কয়েক দশকে অনেক প্রপাগান্ডা হয়েছে। বরং দেখা গ্যাছে, সব কিছু হারিয়ে মানুষ শেষ পর্যন্ত তার আইডেন্টিটি ধরে রেখেছে। এইটাই যারা কেড়ে নিতে গ্যাছে তাদের বর্জন করেছে।

ন্যাশ্নালিস্ট আইডেন্টিকে বাই ডিফ্লট প্রব্লেমেটিক মনে করাটা আমি এথিকালি করাপ্ট মনে করি।

ন্যাশ্নালিজমকে আমি তিন ভাগে ভাগ করি। প্যাসিভ ন্যশ্নালিজমক, রিএক্টিভ ন্যাশ্নালিজম এগ্রেসিভ ন্যাশ্নালিজম।

প্যাসিভ ন্যাশ্নালিজম হচ্ছে একটা ন্যাচারাল স্টেট। আপনি আপনার ন্যাশ্নালিস্ট  আইডেন্টিটি কি সেইটা জানেন,  কিন্তু সেইটাকে পলিটিকাল ঊইপন মনে করেন না।

মনে করেন, আমাদের চিটাগনিয়ান পরিচয় একটা প্যাসিভ ন্যশ্নালিজম। এর কোন পলিটিকাল এম্বিশান নাই। কিন্তু তবুও এইটা আপনার পরিচয়ের সোর্স।  ইন্টেরেস্টিংলি আমি চিটাগনিয়ান ভাষা ভালো মত বলতেও পারি না। কিন্তু,   গতকাল একটা ফর্ম ফিলাপ করতেছিলাম। সেই খানে ভাষা কি সেই অপশনে আসলো চিটাগনিয়ান। আমি বাংলার পরিবর্তে চিটাগ্নিয়ানকে সিলেক্ট করেছি।

এইটা আমার চিটাগনিয়ান ন্যাশ্নালিজম। এইটার কোন এগ্রেসান নাই। এর কোন পলিটিকাল এম্বিশান নাই। কিন্তু এইটার প্রাইড আছে। স্ট্যান্ডার্ড চারটাডের মত বিদেশি ব্যাঙ্কে চট্টগ্রামে কাস্টমার সার্ভিস অফিসার নিয়োগের একটা পূর্ব শর্ত হচ্ছে  চিটাগনিয়ান জানতে হবে। কারণ চিটাইঙ্গা ভাষায় কথা না বললে চিটানিয়ান ব্যবসায়ীরা ব্যবসা দিবে না। আই থিঙ্ক দ্যাটস কুল।

আমি কোন সমস্যা দেখি না। এতো টুকু আইডেন্টিটির আত্ম স্লাঘা একটা জাতির থাকতে হবে। (উপস, আমি চিটাগনিয়ানদের জাতি বলে ফেললাম)। সরি, এন্সুল্ডিগুং। 😛

রিএক্টিভ ন্যাশ্নালিসজম বলতে আমি বুঝি সেই ন্যাশ্নালিজম যা একটা আক্রমনের সম্মুখিন। এবং এই আক্রমন তাকে  ক্ষুব্ধ করে। তাই সে তার পরিচয় আরো শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরতে চায়। উদাহরণ, জুম্ম  জাতীয়তাবাদ এবং বাংলাদেশি জাতিয়তাবাদ।

বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মূলত পাকিস্তানি এগ্রেসনের মুখে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতেই হয়েছে। কিন্তু, মুজিবর এবং তার কমপ্লিকেটেড পোস্ট ৭১ পলিটিক্স সেইটাকে বাঙালি জাতিয়তাবাদে রুপান্তর করেছে স্ট্রেঞ্জ কারনে যা একটা দীর্ঘ আলোচনা।

এই বাঙালি  ন্যাশ্নালিসজম  ৭১ এর পরে হয়ে গ্যাছে এগ্রেসিভ।   চাকমা মুরং কে বলেছে বাঙালি হয়ে যেতে।  এবং সেই আগ্রাসনের মুখে মাথা উঁচু করে দাড়াতে গ্যাছে, জুম্ম জাতীয়তাবাদ। যেইটা এসেন্সিয়ালি একটা রিএকটিভ ন্যাশ্নালিজম। বঙ্গবন্ধু তাদের তোরা সব বাঙালি হয়ে যা বলার আগে, যার কোন পলিটিকাল এম্বিশান সেই ভাবে দেখা যায় নাই। (খেয়াল করবেন কাপ্তাই হ্রদ কিন্তু হয়েছে ১৯৫৬ সালে)

কিন্তু আক্রমনের মুখে সেই জুম্ম ন্যাশ্নালিজম আরো শক্ত ভাবে নিজের রুট আঁকড়ে ধরেছে।

অন্যদিকে এগ্রেসিভ ন্যাশ্নালিজম আমি বলি ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে বা মার্কিন জাতিয়তাবাদকে যে নিজের জাতিবাদি শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাস করে।

এবং শুধু তাই না সেই শ্রেষ্ঠত্ব স্থাপনের জন্যে যে ভিন্ন পরিচয়কে মুছে দিতে চায় ।

ইতিহাস আমি যত দূর পড়েছি আমি দেখি নাই, বাংলাদেশি ন্যাশ্নালিজম কখনো খুব আগ্রাসি ভুমিকায় ছিল। সে সব সময়েই ছিল রিএক্টিভ। পাহাড়ে যদিও কিছু ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু সেইটাও দীর্ঘ আলোচনায়  নির্ধারণ করতে হবে,  কত টুকু আগ্রাসন কত টুকু রিএকশান।

আমি মনে করিনা, আমার বাংলাদেশি স্ব জাতিদের কোন জাতিগত মাহাত্ত্য বা ভালোবাসার জন্যে বাংলাদেশী ন্যাশ্নালিজমের আগ্রাসনেরর তেমন ইতিহাস নাই। বরং, ভারতের মত একটি আগ্রাসি ন্যশ্নালিজমের ভাটির দেশ হওয়াতে রিয়ালিস্ট হিসেবে বাংলাদেশের বাংলাদেশি ন্যাশ্নালিজম সব সময়েই রিএক্টিভ থেকেছে এগ্রেসিভ হয় নাই। সুযোগ পেলে এই ন্যাশ্নালিজম খুবই রিগ্রেসিভ হতে পারে, যার সকল সম্ভাবনা এই জাতিয়তাবাদের মধ্যে আছে। কিন্তু ভারতীয় ন্যশ্নালিজমের আক্রমনের মুখে  এইটা একটা হাইপোথেটিকাল প্রব্লেম।

কিন্তু এসেন্সিয়ালি যে পয়েন্টটা আমি আনতে চাইতেছি সেইটা হচ্ছে ন্যাশ্নালিসজম এসেন্সিয়ালি একটা খারাপ জিনিষ এই প্রপাগান্ডা একটা সোশালিস্ট ট্রোপ।

যে কোন জাতির টিকে থাকার জন্যে আত্ম মর্যাদার জন্যে একটা হেলদি পরিমাণ ন্যশ্নালিস্টিক ফিলিংসের দরকার আছে। এইটা একটা সমাজে ইউনিটি  তৈরি করে। এইটা একটা কমন পরিচয় দেয়। এবং এইটা রাষ্ট্রে ইকুয়ালিটির একটা পূর্ব শর্ত- একাত্মতাবোধ- পূর্ণ করে।

কিন্তু যেটা খেয়াল রাখতে হয় সেইটা হচ্ছে, সেই ন্যাশ্নালিজম যেন প্যাসিভ বা রিএক্টিভ থাকে। এগ্রেসিভ ন্যাশ্নালিজ খুবই জঘন্য জিনিষ, যার হাতে বিশ্বের অসংখ্য গনহত্যা হয়েছে।

এইটাই শুধু এগ্রেসিভ ন্যাশ্নালিজমের হাতে নয়, রিলিজিয়ান,মারক্সিজম বা ক্যাপিটালিজমের বা সকল আইডিওলজি সকলের হাতেই হয়েছে।

সো পয়েন্ট ইজ, ন্যাশ্নালিজমের বিভিন্ন শেডকে আলোচনায় না নিয়ে যে কোন ন্যাশনালিজমকে  বিল্ট ইন ভাবে  খুব নোংরা জিনিষ হিসেবে চিহ্নিত করা খুবই বহুল চর্চিত একটি প্রপাগান্ডা যাতে অনেকেই বিভ্রান্ত হন।

চিয়ারস এন্ড গুড নাইট।

আমার সাপ্তাহিক ব্রেক এই খানেই ফুরালো। আমি প্রতি সপ্তাহে শনি বার ফিরবো । টেক কেয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.