সিলেটে শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে ভাস্কর্য স্থাপন বিতর্ক নিয়ে কিছু কথা

ধর্মীয় বিষয়ে মন্তব্য খুব সেন্সিটিভ। ঐ জন্যে ধর্মীয় বিষয়ে আমি কখনও কমেন্ট করি না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে করছি। কারন চোখের সামনে, দেশটা ক্রমাগত আইডিয়লজিকালি ভাগ হয়ে যাচ্ছে যেটা খুবি উদ্বেগ এর। ঐ ভাবনা থেকেই মন্তব্য টা করছি।

যে ৫১ জন শিক্ষক এই ভাস্কর্যের বিরোধিতা করেছেন, তাদের সবার আগে উচিত ছিল সিলেটের মাজারে মাজারে যে শিরক টা হয় তা নিয়ে উচ্চকিত হওয়া। ঢাকা ইউনিভার্সিটি চত্বরে, অপরাজিত বাংলা আছে। সে খানে গিয়ে কেউ বলেনা, হে রাইফেল ধারি মূর্তি আমার মেয়ে এর ভাল বিয়ে দাও , আমার ছেলের চাকুরি দাও। কিন্তু এই সব মাজারে, অজস্র মানুষ দখিনা দেয়, শিরনি দেয় , তারপর সিজদা ঠেকিয়ে বলে, বাবা আমার ছেলে কে চাকুরি দাও , মেয়ে এর বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। এইটা সব চেয়ে ভয়াবহ রকম শিরক। কিন্তু তারা কখনও এর বিরুদ্ধে উচ্চকিত হয়না। ঐ কাজ টা না করে, শুধু মাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে সৃষ্টি একটা ভাস্কয্যের বিরধিতা করাটা ধর্মীয় অনুশাসনের নাম দিয়ে, রাষ্ট্রের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার একটা প্রচেস্টা বলেই মনে হয়।

কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। ইসলাম এর পাঁচটা স্তম্ভ আছে। কলেমা, নামাজ, রোজা,হজ্জ , জাকাত। ঐ পাচ টা স্তম্ভের উপর একজন মুসলমানের ইসলাম দাঁড়িয়ে। ঐ পাঁচ টা মুল কাজ বাদ দিয়ে যে দেশ, কিছু অনুশাসন আর আচার নিয়ে মত্ত হয়ে পরে এবং ক্রমাগত দেশ কে আইডিওলজিকালি ভাগ করতে থাকে সে দেশ ধিরে ধিরে প্রথমে পাকিস্তান তারপর আফফানিস্তানে পরিনত হয়। ঐ টাই মৌলবাদ, এইটাই ফ্যনাটিসিজম। বিষয় টা এই খানে শিরক হচ্ছে কি হচ্ছেনা তার নয়। যদি সেই টা হত তাহলে প্রথমে এই সাইন ধারিগন মাজার এ ব্যক্তিপূজার বিরদ্ধে দাঁড়াত।

সারা বিশ্বে এইটা দেখা গেছে, প্রথমে তারা শুরু করে, খুব সহজে মুল জনগোষ্ঠীর সহানুভূতি পাওয়া যায় এমন ইস্যু দিয়ে।পরবর্তী তারা ধরবে আমাদের পোশাক, আমাদের গান, আমাদের সংস্ক্রিতিকে । তাই এদের কে প্রথমেই, পরিষ্কার ভাবে কিনারায় সরিয়ে দেয়া উচিত।

ধর্ম মানুষ কে অনড় অবস্থান দেয়। তাই ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি কখনও একটা রাষ্ট্রের জন্যে মঙ্গল জনক নয়। এবং এই জন্যেই রাষ্ট্র থেকে ধর্ম কে বিযুক্ত করা খুব জরুরী। ধর্মের অনুশাসন ব্যক্তি এবং পরিবার এর জন্যে এবং কোনও ক্ষেত্রে সমাজের জন্যে প্রযোজ্য, কিন্তু রাষ্ট্রের উপর ধর্মীয় অনুশাসন চাপিয়ে দেয়ার ফলাফল ভয়াবহ হয়, এইটা ইতিহাসের শিক্ষা।

একই সাথে আমি, ঐ একান্ন জন শিক্ষক সবাইকে ছাগু গালি দেয়ার বিরোধিতা করি। ছাগু শব্দটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কারি গ্রুপ কে চিহ্নিত করতে ব্যবহার হয় । মৌলবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কে, এক করে ফেলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা টা রাজনৈতিক ভাবে সুবিধাজনক হলেও এই দুই টাকে আলাদা রেখে আলাদা আলাদা ভাবে এপ্রোচ করা টা এই ক্রম বিভক্ত জনপদ এর জন্যে খুব জরুরী।

আমি জীবনে দুই টা নোট ভয়ে ভয়ে দিছি। ঐ টা তার দুই নাম্বার টা।

সামু তে এই লেখাটা টা আমি ব্লগ আকারে দেয়ার পর, কিছু কমেন্ট পেয়েছি। সামুর মতামত বাংলাদেশের মানুষের একটা বড় অংশের প্রতিনিধিত্ত করে, তাই যে কোন বিষয়ে সামু পরলে, অনেক কিছু বোঝা যায়। এই নোট এর যুক্তির বিরুদ্ধে মুল যুক্তি এই টা।

েরজাউল ফারুক বলেছেন

you generally don’t comment on these issues, what made you comment on these? It’s clearly shirk. Our prophet (sm) once said, he came to this world to uproot worship to statues. Don’t make own decision about Islami Aqida.

আমি একজন ধর্ম বিশ্বাসী আস্তিক মুসলমান। এবং এই যুক্তি টার যুক্তি মেনে নিয়ে, আমার

মতামত এই টা।

Brother Rejaul. Exactly where the risk is. I mean, there is a big group of people in this country who are not muslim and who does not have to follow the rules set by our religion and also there is a big group if muslim, who do not mind having a sculpture which is not made for ideolizing. Now who are you and who am I to stop that ?

And, a state has to clearly stay away from the debate what is shirk and what is not shirk.

That is for person. And, that is for family to act.

If you enforce your own religious beliefs, then there will be conflict, conflict in the nature that pakistan has now. bombings in streets, shia sunni dibate, killing in mosque, bombing in bazars and schools. which is not at all necessary in our country.

We already have enough of conflict. Thanks for the comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.