আমার তিনটা টেক এওয়ে

আমার তিনটা টেক এওয়ে

১। গল্প বললে এই  ভাবে  বলতে হয়। সিম্পলি ব্রিলিয়ানট স্টোরিটেলিং। বাংলাদেশে প্রকৃত যা ঘটছে এই গুলো রিয়াল টাইম বললে মাফিয়া সিনেমাকেও হার মানাবে। এবং আমি সব সময়েই আফসোস করেছি, আমাদের আর্টিস্ট  লেখক, গায়ক,  সিনেমা মেকাররা এই স্টোরিটা ক্যাপচার করতে পারতেছেনা। আলজাজিরা করে দেখালো কিভাবে গল্প বলতে হয়।

স্টানিং।

২ । এই ডক এর হিরো আমার কাছে হাঙ্গেরিয়ান  লোকটা, হারিসের বিজনেস পার্টনার।  উনি যে রিস্কটা নিয়েছেন এইটা এক্সপোজ করতে, এইটা আন বিলিভেবল।

মাফিয়ার যখন আমাদের অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ কে সিজ করে নেয়, নকল হিরোরা যখন সেলেব্রিটি হয় মাফিয়াদের মুখে মানবিকতার  মুখোশ পরায়  তখন সাধারণ মানুষেরাই অসাধারণ হয়ে উঠে। এই ভদ্রলোক সেই রকম একজন হিরো।

৩। অধিকাংশ মানুষ  এই ডকুমেনটারি   নিয়ে কথা বলতে সাহস পাবেন না। কিন্তু, যেভাবে পারেন সবার এই ডকুমেন্টারি নিয়ে  কথা বলা উচিত।

কারণ,্যমান বাস্তবতাকে পরিবর্তন করার প্রথম কাজ বাস্তবতাকে স্পষ্ট করা।  আপনাকে উচ্চকিত স্বরে উচ্চারণ করতে হবে,  আপনি আজকে একটা মাফিয়া তন্ত্রের হাতে বন্দি।

এই রিয়ালিটিকে শুধু উপল্লব্ধি করলে হবেনা। এই উপলব্ধি আপনাকে  জন মানুষের স্বরে নিয়ে আসতে হবে।

আমাদেরকে ভয়ে চুপ থাকলে চলবে না। আমাদের বলতে হবে, আমরা কিছু মাফিয়ার হাতে বন্দি।

শেখ হাসিনা, তার চারপাশে মাফিয়া দিয়ে ঘিরে রেখেছেন বাই চয়েজ। বাংলাদেশের আর্মি চিফ শীর্ষ মাফিয়াদের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনার বিজনেস এডভাইজার চিহ্নিত শেয়ার বাজার লুটেরার , আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান হচ্ছে  মাদক  মাফিয়ারা , জন শক্তি মন্ত্রণালয় চালাচ্ছে  মানব পাচার কারিরা,  খাদ্য মন্ত্রনলায় চালাচ্ছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা,  প্রতিটা সেক্টরে শেখ হাসিনা খুঁজে খুঁজে শীর্ষ লুটেরাকে খুঁজে এনে বসিয়েছেন – এইটা একটা মাফিয়া স্টেট।

এই মাফিয়া স্টেটের কবল থেকে মুক্তি  পেতে হলে সবার প্রথমে এই সত্যটা উপলব্ধি  করতে হবে যে, বাংলাদেশ এখন একটি মাফিয়া স্টেট।

এই ডকুমেন্টারির সকল নির্মাতাকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা

Leave a Reply

Your email address will not be published.