যাওয়ার আগে আমার শেষ পয়েন্ট হচ্ছে, বাংলাদেশের তেল তেলে ইকন্মিস্টরা যারা দাবী করছেন,পদ্মা ব্রিজের কারনে দেশের ১%, ২% প্রবৃদ্ধি হবে তারা কখনো অপারচুনিটি কস্টের বিষয়টা পড়েছেন কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ রাখতে হবে ।
অপারচুনিটি কষ্ট হচ্ছে, দা কষ্ট অফ অফ ইউর সেকেন্ড এভেলেবল অপশন। পদ্মা ব্রিজের অপারচুনিটি কষ্ট খুব হাই না।পদ্মা ব্রিজের অপারচুনিটি কষ্ট হচ্ছে, ৩ থেকে ৬ ঘন্টা।
ব্রিজ না থাকলে আপনি ফেরি দিয়ে পারাপার করতে পারতেন। এমন না যে, পদ্মা ব্রিজের আগে আপনি পদ্মার এপার ওপার যেতে পারতেন না। ঠিকই পারতেন। রেললাইন সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আছে। এখন এই ব্রিজের কারনে আপনার ৩ থেকে ৬ ঘন্টা সেভ হবে। এইটা অনেক দারুন বিষয় কিন্তু, কিন্তু এইটা বাংলাদেশের ১%, ২% জিডিপি গ্রোথের কোন কন্ডিশান তৈরি করে না।জাস্ট কিছু ইফিসিয়েন্সি গেইন হবে। এই এফিসিয়েন্সি গেইনটাও পদ্মা ব্রিজের দুর্নীতি খেয়ে দিচ্ছে। কারন, এই ব্রিজ যদি সত্যি টোল ফ্রি বা টোল নামমাত্র হতো, তবে যে যে কষ্ট সেভিং হতো তবে সেইটা আসলেই নদীর দুই পাড়ের মানুষের জন্যে বিভিন্ন ধরনের অপারচুনিটি তৈরি করতো।
কিন্তু, ১০ হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট ৩০ হাজার কোটি টাকায় তৈরি করে, সেই দায় মেটাতে প্রতি ট্রাকে ২০০০ টাকায় চার্জ রেখে সেই অপারচুনিটি কসট আরো কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।বাস্তবতা হচ্ছে দুর্নীতির কারনে পদ্মা ব্রিজ চালু হওয়ার পরে সেতুর উপরে ট্রান্সপোর্ট পরিচালনার কষ্ট যেখানে গ্যাছে জাস্ট খরছ বাচাতে অনেক ব্যক্তি বা ট্রান্সপোর্ট সেতুর উপরে চাওয়ার বদলে ৫ ঘন্টা দেড়ি করে, নদী দিয়ে বা অন্য কোন মাধ্যমে যাতায়তকে প্রেফার করবে।
আপনাদের খেয়াল থাকতে পারে , আকাশে অশ্ব ডিম্ব প্রেরন নামে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রেও এই আলাপ গুলো করেছিলাম। সিচুয়েশান ইজ দা সেম।ফলে ইকনমিস্টদের ১% , ২% জিডিপি গ্রোথ বাড়বে, এই সব প্রজেকশানে এতো আশাবাদি হইয়েন না।পদ্মা সেতু চালু হওয়ার দেড় বছর আগে যে ইকনমিস্ট এই ধরনের প্রজেকশান করতেছে তার রাজনৈতিক বোঝাপরাকে প্রশ্ন করেন।এই সেতু দরকারি ছিল,কিন্তু এই সেতু নিয়ে যে অযৌক্তিক আশাবাদ তৈরি করা হইতেছে সেইটা গন্ধ টেস্ট পার হইতেছে না। সরি টু সে।হাস্তালা ভিসতা। দোকান কাল থেকে বন্ধ থাকবে। চিইউস।