কার উন্নয়ন, কিসের উন্নয়ন- উন্নয়ন শীৎকারের আড়ালে বিগত দশকের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিটেন্সের প্রকৃত চিত্র

আমদানি, রপ্তানি ও রেমিটেন্সের বাৎসরিক গড় প্রবৃদ্ধির পতনের মাঝে জিডিপির উত্থান
আমদানি, রপ্তানি ও রেমিটেন্সের বাৎসরিক গড় প্রবৃদ্ধির পতনের মাঝে জিডিপির উত্থান

বাংলাদেশের বিগত দশকের তথাকথিত বিস্ময়কর উন্নয়নের পেছনে পোশাক শিল্প ও রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধিকে প্রধান নির্ণায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কিন্তু, পরিসংখ্যান ভিন্ন একটি চিত্র দেয়। পরিসংখ্যান -এবং সরকারের নিজের পরিসংখ্যান অনুসারেই ২০১১ থেকে ২০১৯ সময় কালে, বাংলাদেশের রেমিটেন্স, এবং আর এম জি ও নন আর এম জি রপ্তানি একটি ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের ভেতর দিয়ে গ্যাছে।

এই সেক্টর গুলো নিয়ে আমাদের হাতে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান রয়েছে।
এই পরিসংখ্যান গুলো থেকে আমরা দুইটি বিষয় দেখবো তা হচ্ছে।
১। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতির সাথে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিটেন্সের তাল হারানো।
২। জিডিপির কম্পোজিশানে রেমিটেন্স এবং আরএমজির ক্রম হ্রাস পাওয়া ভূমিকা।

১। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতির সাথে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিটেন্সের তাল হারানো।

২০০২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত, বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি এবং রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধির হারের চিত্রটি পরবর্তী টেবিলে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

সূত্র ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ডাটা ব্যাংকের ভিত্তিতে লেখক।

প্রদত্ত চিত্র যেইটা উল্লেখযোগ্য তা হলো , ২০০২ থেকে ২০০৬ বাৎসরিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত  ৬% এ পৌছায়।এই সময়ে রেমিটেন্স,  আমদানি, আরএমজি ও নন আরএমজি  রপ্তানির হার ও রেমিটেন্সের বাৎসরিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ১৫% এর ঊর্ধ্বে ছিল।

কিন্তু, ২০১২ থেকে ১৬তে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৬% এ পৌছায়  কিন্তু, আমদানি রপ্তানি ও রেমিটেন্সের বাৎসরিক গড় প্রবৃদ্ধির হারের ভয়াবহ পতন ঘটে। এই হার গুলো পতন হয়ে  ২.৮%% থেকে ৭.৬%% এর মধ্যে নেমে আসে । এ নিম্ন মুখি ধারা ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বজায় থাকে। করোনা বর্ষ ২০২০ এর এবং ২০২১ এর পরিসংখ্যান যোগ করলে, এই গড় আরো নীচে নেমে আসে। কিন্তু, পর্যালোচনার স্বচ্ছতার খাতিরে এই পরিসংখ্যান যুক্ত করা হয় নাই।  

এখানে,  ২০১২ থেকে ১৬ এর সঙ্কোচনটি বেশ উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে আমদানি রপ্তানি ও রেমিটেন্স – বাংলাদেশের উন্নয়নের তিনটি প্রধান পিলারের বাৎসরিক গড় প্রবৃদ্ধির  হার  ১৫% থেকে ১০% এর নীচে নেমে আসে। পূর্ববর্তি দশক থেকে নিম্ন প্রবৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা ২০১৬ থেকে ১৯ পর্যন্ত বহমান থাকে। 

বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ এবং সরকারি প্রোপাগান্ডা মহলের উন্নয়ন শীৎকারের বয়ানের এই এই টেবিলের তথ্য গুলোতে বিস্ময়কর বিসদৃশ্য দেখা যাচ্ছে। যার থেকে আমরা দেখতে পারি, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান তিনটি স্তম্ভ আমদানি,  রপ্তানি এবং রেমিটেন্সের পারফরমেন্স উচ্চ প্রবৃদ্ধির এই দশকে কিভাবে কমে এসেছে।

বোঝার সুবিধার জন্যে প্রদত্ত চিত্রটি আমরা আলাদা আলাদা করে টেবিল আকারে দেখি।

বিগত দুই দশকে আরমজির খাতের বাৎসরিক গড় প্রবৃদ্ধির চিত্র  

 2002 to 20062007 to 20112012 to 20162017 to 20192020
RMG Export 11%19%9%7%-18%

সুত্র ঃ https://www.bgmea.com.bd/export-performances/4  

সূত্রের ভিত্তিতে পর্যালোচনাঃ  লেখক।

পূর্বের টেবিলে দেখতে পাচ্ছি, ২০১২ থেকে ১৬ পর্যন্ত সময়ে বছর প্রতি  আরএমজির প্রবৃদ্ধির হার ছিল শুধু মাত্র ৯%। যা পূর্বের পাঁচ বছরের অর্ধেক। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালে আরএমজির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৯%।

উভয় দশকের তুলনা করলে  আরো করুন  বাস্তবতা ফুটে উঠে।

 2002 to 20112012 to 2019
RMG Export 15%8%

সুত্র ঃ https://www.bgmea.com.bd/export-performances/4

সূত্রের ভিত্তিতে পর্যালোচনাঃ  লেখক।

দুই দশকের তুলনা যদি দেখি তবে আমরা দেখতে পাবো ২০১২ থেকে ২০১৯ সালে বছর প্রতি এভারেজ প্রবৃদ্ধি পূর্বের দশকের বছর প্রতি এভারেজ প্রবৃদ্ধি থেকে প্রায় অর্ধেক কমে আসে। করোনার প্রভাবের কারণে, ২০২০ এর তথ্য সংযুক্ত করা  হয় নাই।করলে, ২০১২ থেকে ২০ আরো করুন দেখাতো ।  

নন আরএমজি খাতে হারিকিরি

মনে রাখতে হবে, আরএমজিই শুধু বাংলাদেশের এক মাত্র রপ্তানি খাত নয়। নন আরএমজি খাত বাংলাদেশের এমপ্লয়মেন্টে বড় ভূমিকা রাখে।

এই খাতের প্রবৃদ্ধির চিত্রে আমরা নীচে দেখতে পাচ্ছি।

 2002 to 20062007 to 20112012 to 20162017 to 2019
Non RMG Export11%15%4%1%

Source: Calculated by subtracting the RMG export data retrieved from BGMEA from the gross export data collected from the World Bank Databank

প্রদত্ত টেবিলে দেখতে পাচ্ছি, নন আরএমজি খাতের রপ্তানির ২০০৭ থেকে ২০১১ সময়কালের বছর প্রতি গড় প্রবৃদ্ধি ১৫% থেকে  ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে ৪% এ নেমে আসে।যে প্রবৃদ্ধির হার ২০১৭ থেকে ১৯ এ ১% এ নেমে আসে।

করোনা বর্ষে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল আরো  ১১ শতাংশ কম।  

উন্নয়ন অর্গাজম দশকের তুলনা করলে আমরা দেখতে পাই। বাস্তবতা খুবই করুন।

 2002 to 20112012 to 2019
Non RMG Export13%3%

পূর্বের দশকে যেখানে ২০০২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যখন বছর প্রতি গড় ১৩% প্রবৃদ্ধি ছিল, সে গড় প্রবৃদ্ধি ২০১২ থেকে ২০১৯ এ ৩% এ নেমে আসে।

এইটা একটা ভয়াবহ পতন যার থেকে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের রপ্তানি এবং কর্মসংস্থানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত নন আরএমজি যার মধ্যে রয়েছে, পাট, ফ্রোজেন ফুড, কুটির শিল্প সহ বিবিধ পণ্য- এই খাত গুলো এই বিগত  দশকে একটি ধ্বংসযজ্ঞের ভেতর দিয়ে গ্যাছে।

শুধু মাত্র প্রবৃদ্ধির হারে নয়, জিডিপির কম্পোজিশনেও রেমিটেন্স ও আরএমজির ভূমিকা ক্রমাগত  হ্রাস পেয়েছে।

২। জিডিপির কম্পোজিশানে রেমিটেন্স এবং আরএমজির ক্রম হ্রাস পাওয়া ভূমিকা।

জিডিপিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা ক্রমেই ছোট হয়ে এসেছে

প্রদত্ত চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত জিডিপিতে  রেমিটেন্সের ভূমিকা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বছর হ্রাস পাওয়ার পরে, ২০১২ তে রেমিটেন্স ভূমিকা জিডিপিতে ১০% এর কাছে পৌছায়।

পঞ্জিকাবর্ষ ২০১২ তে ছুড়ায় পৌঁছানোর পর, পঞ্জিকাবর্ষ ২০১৩ থেকে রেমিটেন্সের ভূমিকা হ্রাস পেতে থাকে।

একই চিত্র আমরা দেখতে পাই রপ্তানির ক্ষেত্রেও 

This image has an empty alt attribute; its file name is image-1.png

পঞ্জিকা বর্ষ ২০১২তে রপ্তানির ভূমিকা ছিল, ২০% এর উপরে যা ২০১৯৮ সালে ১৫% এর নীচে নেমে আসে।

এইটা দেখানোর মানে নয় যে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্স কৃষি এবং আরএমজির ভূমিকা নেই বা ভূমিকা কম । বরং জিডিপির কম্পোজিশানে আরএমজি রেমিটেন্স ও পোশাক শিল্পের অংশ বছর বছর হ্রাস পাওয়া থেকে আমরা ধরে নিতে পারি যে, জিডিপিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর কারণে জিডিপির কম্পোজিশানে আমদানি রপ্তানি ও রেমিটেন্সের ভূমিকা কমে আসছে।

এর সব কিছুর কিন্তু  প্রতিফল রয়েছে। এই পতন গুলোর ফলে  বাংলাদেশের কর্মসৃজনের এত বছরের ধারা সম্পূর্ণ ধ্বসে পরে। যার ফলে তীব্র ভাবে বাংলাদেশের শ্রম শক্তি হ্রাস পায়।

শ্রমের চাহিদা হ্রাস পাওয়াতে শ্রমশক্তি হ্রাস পায় 

পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়াতে যেভাবে পূর্বের মত শ্রম তৈরি হয় নাই,তার ফলাফল আমরা গবেষণা সংস্থা ম্যাপড ইন বাংলাদেশের গবেষণায় দেখেছি।  সারা দেশে জরিপ করে মাত্র ৩২২৩ টি ফ্যাক্টরি এবং ২৫ লক্ষ ৬২ হাজার কর্মী খুঁজে পেয়েছে ম্যাপড ইন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পাঞ্চলের মধ্যে  ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল নরসিংদী এবং কুমিল্লা বাদে সকল এলাকার প্রায় শত ভাগ ফ্যাক্টরি ভ্রমণ করেছেন অথবা বিভিন্ন ভাবে ফ্যাক্টরি গুলোর পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছেন। ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল নরসিংদী এবং কুমিল্লা যোগ করলে,  মোট ফ্যাক্টরি এবং কর্মী  সংখ্যা ১০% এর বেশী বৃদ্ধি পাবে না। কিন্তু, এত বছর ধরে আমরা  জেনেছি পোশাক শিল্পে মোট ৪০ লক্ষ কর্মী কর্মীরত।

অথচ, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রায় প্রতিটি কারখানায় ভ্রমণ করে, মোট শ্রমিক পাওয়া গ্যাছে। মাত্র ২৫ লক্ষ যা মধ্যে নারি শ্রমিক মাত্র ১৫ লাখ।  #

সূত্রঃ ম্যাপড ইন বাংলাদেশের গবেষণার ভিত্তিতে বনিক বার্তা

নন আরএমজির এক্সপোর্ট খাতের  কি অবস্থা

নন আরএমজি রপ্তানি খাতের  ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের নির্ভরযোগ্য কোন পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু নন আর এম জি ক্ষেত্রেও বাংলাদেশে কর্মসৃজনে নন আরএমজি সেক্টর  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু আমরা দেখেছি,  এই খাতে,  ২০১১ সালের পরে গড় প্রবৃদ্ধির  হার নেমে আসে মাত্র ৩% এ ,  যা পূর্বের দশকে ছিল ১৩%। বছর প্রতি গড় প্রবৃদ্ধি, চার ভাগের এক ভাগে নেমে আসলে স্বাভাবিক ভাবেই নন আর এম জি রপ্তানি খাতে কর্মসংস্থান কমেছে, তা বুঝে নেওয়া জটিল নয়।

এই পরিসংখ্যান গুলো সম্পূর্ণ ভাবে, বিজিএমই এবং  বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সংগৃহীত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ডাটা ব্যাংক থেকে নেওয়া হয়েছে । ফলে তথ্য গুলো সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য এবং সরকারের নিজের দেওয়া তথ্য।

ফলে করোনা কালিন এই দুর্যোগে যা ঘটছে সেই প্রসঙ্গ বাদ দিয়েই আমাদের প্রশ্ন করতে হচ্ছে, উন্নয়ন  অর্গাজম দশকে বাংলাদেশের পূর্বের দশক গুলো থেকে যে অসাধারণ উন্নয়ন হয়েছে বলা হচ্ছে, তার ভিত্তি কি ?

বরং তো আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১২ থেকে ১৯ এ আমদানি, রেমিটেন্স, আরএমজি,  ননআরএমজি রপ্তানি সব গুলো ক্ষেত্রেই পূর্বের দশক তুলনায় এই দশক একটি ধ্বংস যজ্ঞের ভেতর দিয়ে গ্যাছে।

যেখানে সরকারি হিসেবে তথ্যের ভিত্তিতেই দেখা যাচ্ছে পূর্বের দশকের তুলনায়, বাংলাদেশের প্রধান খাত গুলোর প্রবৃদ্ধির গতি থেমে গ্যাছে এই সময়ে, অর্থনীতিবিদ   এবং সরকারের সম্মিলিত উন্নয়ন শীৎকারের কারণ কি ?

14 Comments

  1. এই যদি হয় আসল অবস্থা, তাহলে এই দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ কি? আপনার বিশ্লেষণ অনুযায়ী যা বুঝলাম তা হচ্ছে সরকার তার কথিত বিশাল উন্নয়নের একটা বিশাল এয়ার বাবল তৈরি করে রাখছে। যেটা কি না যে কোনো মুহূর্তে টাশ করে ফেটে গিয়ে একটা টোটাল মেস তৈরি করতে যাচ্ছে। তা নয় কি?

  2. বাঁশ দিয়ে নির্মানাধীন উন্নয়ন।
    যেদিন হুড়মুড় করে ভেংগে পড়বে সেদিন বুঝতে
    পারবে এটা আসলে রানা প্লাজা।
    দুঃখজনক হল ঐ ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়বে দুস্কৃতিকারী উন্নয়ক গ্যাং বাদে বাকি সবাই।

  3. চমৎকার লেখা, আমি পড়তে পড়তে খেই হারায় ফেলি..ধন্যবাদ জিয়া ভাই.

  4. অনেক তথ্যমুলক লেখা শুভ কামনা নিরন্তর ।

  5. এই গবেষণা গুলা বাংলাদেশের কোন পত্রিকা প্রকাশ করবে না। এই করোনাতেও RMG সেক্টর সব প্রনদোনা নিয়ে গেল এই বলে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি তারাই টিকাই রখছে। কিন্তু নিজেদের সেক্টরের উন্নয়নের জন্য ভাল কোন মৌলিক গবেষণাগার বা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারে নাই। BGMEA আর BKMEA এর নেতারা আছেন রাজনীতিতে নিজেদের প্রতিষ্টীত করার ধান্ধায়…

  6. আগে প্রবৃদ্ধি ছিলো ১০% আর এখন ৫%, তারমানেই এখনকার পরিস্থিতি খারাপ? যখন ১০% প্রবৃদ্ধি ছিলো তখন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ছিলো ১০০ কোটির, এখন সেটা দাড়িয়েছে ১০০০ কোটির। ১০০ কোটির ১০% আর ১০০০ কোটির ৫% কত সেটা হিসাব করেন। শুধু প্রবৃদ্ধি না দেখিয়ে খাত ভিত্তিক আয় দেখানো প্রয়োজন ছিলো। শুধু প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে উন্নয়ন বুঝানো সম্ভব নয়। ২০০৫/২০০৬ সালেও গ্রামের বাড়িতে গরু দেখাশোনার জন্য শুধু খাবারের বিনিময়ে ১২/১৪ বছরের ছেলে রাখা যেতো, এখন সেটা টাকা দিয়েও সম্ভব না। প্রত্যেকে নিজের অবস্থা বিবেচনা করুন, সেটা গত ১৫-২০ বছর আগে কেমন ছিলো এবং এখন কেমন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.