ভারতের চলমান অক্সিজেন সংকট এবং আমাদের বাস্তবতা

ভারতের কভিড বিপর্যয়ে , অক্সিজেন সাপ্লাই করা নিয়ে যে বিতর্ক তা খুব ভালো রকম মিস ইনফরমড। বাস্তবতা হলো, ভারতে সাপ্লাই দেওয়া তো দুরের কথা স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশে ২০% অক্সিজেন ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
এবং চান্সেস আর ভারত এই টুকু বন্ধ করে দিবে।
একই সাথে, পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় অক্সিজেন সাপ্লাই প্ল্যান্ট, লিন্ডের প্ল্যান্ট কারিগরি দুর্যোগের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে এই সময়ে বাংলাদেশের অতিরিক্ত আমদানি করতে হলে , যা স্বাভাবিক সময়ে ভারত থেকে আমদানি করা হতো- কিন্তু সেইটা আমদানি করা যাবে না।
ভারত যখন তার রপ্তানি বন্ধ করে দেবে, তখন সেই একই যুক্তি দেবে যে ভাষায় আমাদের অনেকে কথা বলছেন,
১। আমাদের নিজের প্রান বাচিয়ে তারপরে বাংলাদেশের কথা ভাবা যাবে।
২। ওদের মধ্যে যে পরিমাণ ভারত বিদ্বেষ, কেন দেবো ?
একটা ম্যাস হিস্টেরিয়াতে আজকে উভয় দেশের জনগণ ভুগতেছে। এই অবস্থায়, সবার আগে প্রয়োজন শুভ বুদ্ধির উদয়। উভয় দেশেই। বাংলাদেশের যে রিসোর্স এখন এক্সট্রা আছে সেইটা ভারতকে দিয়ে হেল্প করতে হবে।
দুই, ভারতকেও বাংলাদেশের জন্যে প্রমিজড কন্ট্রাক্টেড অব্লিগেশান গুলো রাখতে হবে।
উভয় পক্ষেই, ম্যাস সাইকোসিস যারা ম্যানুফেকচার করতেছেন, তাদেরকে বুঝতে হবে
এইটা কোন হিপোথেটিকাল দক্ষিন এশিয়ান সহমর্মিতা এবং ভাত্রিত্তবধের জন্যে নয়, বা ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিরোধ নয়। এইটা জাস্ট সাধারণ মানবিকতা থেকেই আমাদের একের অপরের জন্যে করতে হবে।
লেট গুড সেন্স প্রিভেইল।
নোট।
লিন্ডের প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেলে, ভারত থেকে লিকুইড অক্সিজেন আমদানি করা না গেলে বাংলাদেশে একটা ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।
সরকারের ইমিডিয়েটলি, জার্মানি, চায়না বা অন্যান্য দেশ গুলোর সাথে যোগাযোগ করে ক্যাপাসিটি ইঙ্ক্রিজ করতে হবে।
এদের মাথায় কে এগুলো ঢুকাবে- হে আল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.