রুচির শর্মা কেন রাইজ এন্ড ফল অফ নেশানস গ্রন্থে – গুড বিলিয়নার থেকে ব্যাড বিলিয়নারদের আলাদা করেছিলেন

আমার প্রিয় অর্থনীতিবিদ রুচির শর্মা তার রাইজ এন্ড ফল অফ নেশান্সে- কোন দেশের উত্থান হবে কোন দেশের পতন হবে তা মাপার জন্যে ১০ টা খুবই ইউনিক ইনডিকেটর ব্যবহার করেছিলেন।এর মধ্যে আমার খুব প্রিয় ইন্ডিকেটর হচ্ছে, গুড বিলিয়নর ভারসাস ব্যাড বিলিয়নার। রুচিরের আর্গুমেন্ট

নাসিম মঞ্জুর কান ধরে ব্যবসা ছাড়তে চাওয়ার একটাই কারণ -ভ্যাট ডিস্ক্রিমিনেশান

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)নাসিম মঞ্জুর একটি সেমিনারে বলেছেন , বাংলাদেশের করব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে ব্যবসাবৈরী। এ কারণে ব্যবসা বন্ধ করেই দেওয়া উচিত। আমরা যারা বাংলাদেশে ব্যবসা করি, আমরা কাল থেকে কান ধরে ছেড়ে দিতে চাই।’ এই বিষয়টা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যবসা

কার উন্নয়ন, কিসের উন্নয়ন- উন্নয়ন শীৎকারের আড়ালে বিগত দশকের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিটেন্সের প্রকৃত চিত্র

বাংলাদেশের বিগত দশকের তথাকথিত বিস্ময়কর উন্নয়নের পেছনে পোশাক শিল্প ও রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধিকে প্রধান নির্ণায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।কিন্তু, পরিসংখ্যান ভিন্ন একটি চিত্র দেয়। পরিসংখ্যান -এবং সরকারের নিজের পরিসংখ্যান অনুসারেই ২০১১ থেকে ২০১৯ সময় কালে, বাংলাদেশের রেমিটেন্স, এবং আর এম জি ও নন

রিজার্ভ থেকে সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার পায়রা পোর্ট অথরিটিকে দেওয়া হবে

রিজার্ভ থেকে সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে  ৬৫০ মিলিয়ন ডলার  পায়রা পোর্ট অথরিটিকে  দেওয়া হবে- যারা ওই অর্থ , পায়রা বন্দর প্রজেক্টে ব্যায় করবে। এরপরে কি ঘটবে সেই সিকুয়েন্স অফ ইভেন্টটি দেখুন  ? খুব ইন্টেরেস্টিং বিষয়টা। মনে করুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার।

/

রিজার্ভের ডলার থেকে কেন সরকার ঋণ করতে পারে না ?

রিজার্ভের ডলার থেকে কেন সরকার ঋণ করতে পারে না ?’ আসেন একটা সিম্পল একজাম্পল দিয়ে বিষয়টা বুঝি। ‘মনে করুন, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের এই মুহূর্তে ৪০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে,। সেই চল্লিশ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে সরকার কোন একটি প্রজেক্ট ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পদ্মা ব্রিজের অপারচুনিটি কষ্ট হচ্ছে, ৩ থেকে ৬ ঘন্টা।

যাওয়ার আগে আমার শেষ পয়েন্ট হচ্ছে, বাংলাদেশের তেল তেলে ইকন্মিস্টরা যারা দাবী করছেন,পদ্মা ব্রিজের কারনে দেশের ১%, ২% প্রবৃদ্ধি হবে তারা কখনো অপারচুনিটি কস্টের বিষয়টা পড়েছেন কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ রাখতে হবে । অপারচুনিটি কষ্ট হচ্ছে, দা কষ্ট অফ অফ ইউর সেকেন্ড

পদ্মা সেতুর ফলে, ১%, ২% জিডিপি বৃদ্ধি পাবার আশাবাদ ভেজাস্বপ্ন

পদ্মা সেতুর ফলে, ১%, ২% জিডিপি বৃদ্ধি পাবে আশাবাদকে ভেজাস্বপ্ন বলার কারনে- আমার অর্থনীতিবিদ বন্ধুরা বেশ কিছু ভালো রেস্পন্স দিয়েছেন। সেই গুলো একটা প্রত্যুত্তর দাবী রাখে । আমার বন্ধুদের সবার বক্তব্য সামারি করলে, তিনটা মূল আরগুমেন্ট পাই। ১। আমি অপরচুনিটি কষ্ট বিষয়টাই

যে কোন এলাকায় শিল্পায়ন হবে কি হবেনা। সেইটা রাষ্ট্রের কম্পিটিটিভ এডভান্টেজ থিওরির মত এলাকা ভিত্তিক কম্পিটিটিভ এডভান্টেজ থিয়োরি প্রযোজ্য।

শিল্পায়ন আরগুমেন্ট টা খুব ইন্টেরেস্টিং, উনারা বলতে চাচ্ছেন পদ্মা সেতু হলে সেখানে ম্যান, ম্যাটেরিয়াল এবং মেশিনারি এবং উৎপাদিত পন্য ট্রান্সপোর্ট সহজ হবে, ফলে, শিল্পায়ন হবে। এবং এর ভিত্তিতে জিডিপিতে ১% থেকে ২% মানে, প্রায় ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৭ লক্ষ কোটি

এই দেশের ইতিহাসের সব চেয়ে খরুচে প্রকল্পে কেন আমরা আন কম্পিটিভ ভাবে টেন্ডারিং করলাম ?

শেখ হাসিনা যদি তার শাসনামলের কোন সিদ্ধান্তের জন্যে ধন্যবাদ ডিজারভ করেন, তবে সেইটা পদ্মা সেতুর জন্যে এবং সেই ধন্যবাদ তাকে দিতেই হবে। এবং আমি দেবো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এখন কেন ? পদ্মা সেতুর তো মাত্র স্পান লাগানো কমপ্লিট হলো, মূল সেতুর কাজ

অর্থনীতি বিদ্যা এবং অর্থনীতিবিদদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা দিনে দিনে কমে আসতেছে

অর্থনীতি বিদ্যা এবং অর্থনীতিবিদদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা দিনে দিনে কমে আসতেছে। বিশেষত করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয়য়ে তাদের এনালিসিস এবং সমাধান গুলো দেখে আমার শ্রদ্ধা শূন্যের কোঠায় চলে গ্যাছে। অর্থনীতিবিদদের এখন আমি বলি এগ্রেগেটর বা গড়কারি বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিকে এখন ডাকি